ডিসেম্বরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শুরু হবে

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন,
ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অবকাঠামোগত কাজ শুরু হবে এবং দ্রুতগতিতে এর কাজ সম্পন্ন করা হবে।

শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পর্যটনমন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য  ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য ৮০০ একর ভূমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৭০০ একর খাস জমি এবং প্রায় ১০০ একর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ভূমি। এটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে।

বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন একটি বড় শর্ত। এ উপলব্ধি থেকে সরকার কুয়াকাটা যাওয়ার সড়কে ইতোমধ্যে নতুন ৩টি সেতু নির্মাণ করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

কক্সবাজারের পর্যটন সুবিধার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পিত এলাকার উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ঘেঁষে মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, টেকনাফে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন নির্মিত হলে বিদেশি পর্যটকরা আরো নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবে।

মন্ত্রী জানান, বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য ‘অন এরাইভাল ভিসা’ প্রদান করা দেশের তালিকায় আরো নতুন দেশ অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফারুক খান বলেন, সরকার ‘ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন সচিব মো. আতাহারুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল অব ট্যুরিজম-এর চেয়ারম্যান এ কে এম বারী ও আইএলও বাংলাদেশের পরিচালক আন্দ্রে বুগি।

বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশগ্রহণকারীদের চিন্তাধারা ও মতামতের মাধ্যমে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সমন্বয়ে বাংলাদেশে পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতের উন্নয়নে একটি সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত কার্যকরি পরিকল্পনা গ্রহণের জন্যে সম্মেলনটি আহ্বান করা হয়। মানব সম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সার্ক অঞ্চলে পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতের উন্নয়নে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা মোকাবিলা, এ খাতে সরকারি, বেসরকারি ও দাতা সংস্থাদের ভূমিকা এবং বাংলাদেশে পর্যটন ব্রান্ডিং -এর উপর ৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বিদেশি পর্যটক থেকে গড়পড়তা মাত্র ১৪৭ মার্কিন ডলার আয় করছে যা অন্যান্য দেশের তুলানায় খুবই অপ্রতুল। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬ দেশের মধ্যে ১২৯তম। এটাকে তারা হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে দূরবর্তী দেশের পর্যটকের সংখ্যা কমে আসছে। তার পরিবর্তে আঞ্চলিক পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারত ও চীনের পর্যটকদের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ার উপর তারা গুরুত্বারোপ করেন। এ ক্ষেত্রে ইকো ট্যুরিজম ও রুরাল ট্যুরিজমের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণের কথা বক্তারা তুলে ধরেন।
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment