কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাদিয়া মণি ময়না (১৫) নামের
গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ছড়ারকুল গ্রামের পার্শ্ববর্তী আলু খেতে লোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে শুনেছি দক্ষিণ ছড়ারকুল গ্রামের আবদুল জলিলের প্রতিবন্ধী কিশোরী সাদিয়া মণি ময়নাকে পার্শ্ববর্তী আলু খেতে নিয়ে গিয়ে জবাই করে হত্যা করে আপন মামা আবদুর রহিম। এ সময় ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে সুচতুর মামা নিজেও একটু বিষ পান করে কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এরপর মামাও হাসপাতালে ভর্তি হয়। নিহত সাদিয়া শারীরিকভাবে একজন প্রতিবন্ধী এবং তার মামার বাড়ি ও বাপের বাড়ি একই স্থানে।'
এলাকাবাসী জানায়, নিহত কিশোরী ময়না তার নিজ বাড়িতে থাকতো ছোট দুইভাইকে নিয়ে। ময়নার বাবা গত তিনমাস পূর্বের একটি হত্যা মামলায় আত্মগোপনে রয়েছেন এবং মা হামিদা বেগম বেলু ওই মামলায় বর্তমানে জেলে। আগের হত্যা মামলায় পলাতক থাকা বাবার ইন্ধনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামা এ ধরনের নাটক সাজিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের মতে, জবাই করার পর গুরুতর অবস্থায় কিশোরীকে নিয়ে মামা আবদুর রহিম প্রায় ২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে কিশোরীকে নিয়ে আসে অপর দুই ব্যক্তি। একই সময় বিষ পান করে হাসপাতালে ভর্তি হন মামাও। এতে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ মামাকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, 'প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী মামা আবদুর রহিমই এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে মামা কি কারণে কিশোরীকে হত্যা করেছে সেই রহস্য উদ্ঘাটনের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, সামপ্রতিক সময়ে একই এলাকায় আরেকটি হত্যা মামলায় ওই কিশোরীর মা বর্তমানে কারাগারে বন্দি। পলাতক রয়েছেন কিশোরী সাদিয়ার বাবাও। তাই অধিকতর তদন্ত ছাড়া এখনই এ হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বলা যাচ্ছে না। তিনি জানান, নিহত কিশোরীর দাদা নবী হোছন বাদী হয়ে সোমবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে। এই সূত্র ধরেই কিশোরী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং গ্রেপ্তারকৃত মামাকে প্রয়োজনে রিমান্ডে আনা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে শুনেছি দক্ষিণ ছড়ারকুল গ্রামের আবদুল জলিলের প্রতিবন্ধী কিশোরী সাদিয়া মণি ময়নাকে পার্শ্ববর্তী আলু খেতে নিয়ে গিয়ে জবাই করে হত্যা করে আপন মামা আবদুর রহিম। এ সময় ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে সুচতুর মামা নিজেও একটু বিষ পান করে কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এরপর মামাও হাসপাতালে ভর্তি হয়। নিহত সাদিয়া শারীরিকভাবে একজন প্রতিবন্ধী এবং তার মামার বাড়ি ও বাপের বাড়ি একই স্থানে।'
এলাকাবাসী জানায়, নিহত কিশোরী ময়না তার নিজ বাড়িতে থাকতো ছোট দুইভাইকে নিয়ে। ময়নার বাবা গত তিনমাস পূর্বের একটি হত্যা মামলায় আত্মগোপনে রয়েছেন এবং মা হামিদা বেগম বেলু ওই মামলায় বর্তমানে জেলে। আগের হত্যা মামলায় পলাতক থাকা বাবার ইন্ধনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামা এ ধরনের নাটক সাজিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের মতে, জবাই করার পর গুরুতর অবস্থায় কিশোরীকে নিয়ে মামা আবদুর রহিম প্রায় ২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে কিশোরীকে নিয়ে আসে অপর দুই ব্যক্তি। একই সময় বিষ পান করে হাসপাতালে ভর্তি হন মামাও। এতে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ মামাকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, 'প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী মামা আবদুর রহিমই এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে মামা কি কারণে কিশোরীকে হত্যা করেছে সেই রহস্য উদ্ঘাটনের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, সামপ্রতিক সময়ে একই এলাকায় আরেকটি হত্যা মামলায় ওই কিশোরীর মা বর্তমানে কারাগারে বন্দি। পলাতক রয়েছেন কিশোরী সাদিয়ার বাবাও। তাই অধিকতর তদন্ত ছাড়া এখনই এ হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বলা যাচ্ছে না। তিনি জানান, নিহত কিশোরীর দাদা নবী হোছন বাদী হয়ে সোমবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে। এই সূত্র ধরেই কিশোরী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং গ্রেপ্তারকৃত মামাকে প্রয়োজনে রিমান্ডে আনা হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment