সুযোগ সন্ধানীরা মাঝে মাঝে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ানঃ এথিন রাখাইন

শ্বশুর বাড়ি কক্সবাজারে এসে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন। শহরের চাউল বাজার সড়কের বাসিন্দা এবং কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং হচ্ছেন তার স্বামী।

দেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনার আমতলী উপজেলার আগাঠাকুর পাড়ায় ১৯৬২ সালে জন্ম তাঁর। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ (দর্শন) ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে কক্সবাজার মহিলা কলেজে তিনি যোগদান করেন অধ্যাপনায়।
কলেজ জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন অধ্যাপিকা এথিন। বর্তমানে কক্সবাজার
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সপ্তম জাতীয় সংসদেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। সপ্তম সংসদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং বর্তমান নবম সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য তিনি।
তিনি বলেন, 'প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি বার বার। তবে পরিবার এবং সমাজ থেকে কখনও বাধার সম্মূখীন হইনি। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে এসেছি।'
অধ্যাপিকা এথিন বলেন, 'আসলে রাজনীতি যারা করেন, তারা সকলে সচেতন মানুষ। আমি মনে করি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যই হলো সমাজ এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে পথ ও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্য হবে একই। তাই আমি প্রকৃত রাজনীতি যারা করেন, সেটা যে পক্ষই হোক- তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত ব্যবহারই পেয়েছি।'
এলাকার উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'উন্নয়ন করতে গিয়ে বাধা পাবো কেন? তবে হ্যাঁ, যারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন অর্থাৎ ঘন ঘন রঙ বদলান এবং মৌসুমি রাজনীতিবিদ সেজে জনদরদী হয়ে যান, তাদের নিকট থেকে মাঝে মধ্যে বাধা পাই। কারণ তাতে তাদের উদ্দেশ্যে ব্যাঘাত ঘটে থাকে।'
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''সুযোগ সন্ধানীদের চিনে ফেলেছি এবং তাদের কৌশলে এড়িয়ে যেতেও তেমন কষ্ট হয় না।' উন্নয়ন কাজের ব্যাপারে এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধসমূহ উন্নয়ন করে চলেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছি। কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স কোর্স প্রবর্তন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। এলাকার মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও গির্জা উন্নয়নে অবদান রাখছি। সর্বোপরি কক্সবাজার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজেও অবদান রয়েছে আমার।'
কক্সবাজার দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান তাই এখানকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কী মনে করেন?-এ প্রশ্নের জবাবে রাথাইন বলেন, 'কক্সবাজার যেহেতু দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র তাই এখানকার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করাই হবে অন্যতম প্রধান কাজ। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সমপ্রসারণ করা হলে পর্যটনের প্রসার হবে আরো ব্যাপক।'
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment