মহেশখালী উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের দুর্ভোগ

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং ঠিকাদার অসমাপ্ত কাজ ফেলে যাওয়ার কারণে উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে।

এ কারণে ওই ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের ওপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের কার্পেটিংয়ের অবস্থা আরও করুণ। ফলে বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এ এলাকার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে ১০টি কালভার্ট সংস্কারের অভাবে এখন তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব কালভার্টের ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজন গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি গাড়ি উল্টে গিয়ে দুই শতাধিক লোকজন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। গত ২ বছর আগে সড়ক মেরামতের কাজে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোয়ানক ইউনিয়নের কালালিয়া কাটা হতে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সীমান্তে শুগরিয়াপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কি. মি. রাস্তার কাজ না করে ফেলে গেলেও সড়ক ও জনপথের যেন এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। দীর্ঘ ২ বছর ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া, খোরশাপাড়া, বড়ছড়া, কেরুনতলী, কালালিয়াকাটা, পানিরছড়া; কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর আফজলিয়াপাড়া, এলাকার ছোট-বড় ১০টি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব কালভার্টের ওপর দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এ ছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের মধ্যে হোয়ানকের ধলঘাটপাড়া, পানিরছড়া, কেরুনতলী বাজারের দুটি অংশ, ছনখোলাপাড়া ও কালারমারছড়া এলাকার মাইজপাড়া এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, বিকল্প যাতায়াতের কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।
গাড়িচালক আবুল হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। কালভার্টের পাশাপাশি সড়কের অবস্থা আরও করুণ। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
হোয়ানক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী বলেন, অনেক কালভার্ট ও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গাড়িতে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্থানীয় লোকজন।
হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন, কালভার্ট ও সড়ক ভেঙে গিয়ে ঝুঁিকপূর্ণ হলেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
ইউএনও এটিএম কাউসার হোসেন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক কালভার্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে যাতায়াত করছে। ভেঙে যাওয়া কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের জন্য জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অনেকবার উত্থাপন করা হলেও এখনও কোনো কাজ হয়নি।

Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment