বাঁধ নির্মাণের এক বছর শেষ না হতেই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ ধলঘাটার প্রায় ১৩ কোটি টাকার বাঁধ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বলেন, সাগরের উত্তাল ঢেউ ও জোয়ারভাটা থেকে এলাকাকে রক্ষা করতে হলে চারপাশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বাঁধে সিসি ব্লক বসাতে হবে।ধলঘাটা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৫, ২৬ জুন ও ৩, ৪ জুলাই সাগরের ঢেউ ও অমাবস্যার জোয়ারের কবলে পড়ে ১৩ কোটি টাকার বাঁধ ভেঙে গিয়ে সরইতলার ২০০ ঘরবাড়ি একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। এতে অনেক লোকজন প্রাণে বাঁচার তাগিদে স্থানীয় সরইতলা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর জুন মাসে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ধলঘাটা ইউনিয়নের সুতরিয়ার দক্ষিণ থেকে মাতারবাড়ি সাইরার ডেইলের দক্ষিণ এলাকা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ, প্রায় সাড়ে ৭০০ মিটার বিকল্প বাঁধ ও ১ দশমিক ২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে সিসি ব্লক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নির্মিত বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে তা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। এ কারণে এলাকায় জোয়ারভাটা চলছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু বাঁধ নির্মাণ করলেই হবে না। বাঁধ রক্ষার জন্য দরকার সিসি ব্লক। ফলে ২ কিলোমিটার বাঁধে সিসি ব্লক বসানোর জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আর ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
Blogger Comment
Facebook Comment