সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে গতকাল বুধবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আষাঢ়ী পূর্ণিমার কারণে
পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। পানিতে ডুবে একটি শিশু মারা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দ্বীপের ছয়টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। দ্বীপের দক্ষিণে অমজাখালী গ্রামের এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে দুটি ঘর। বড়ঘোপ ইউনিয়নের জোয়ারের পানিতে এক কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে চর ধুরুং ও ফয়জনির বাপের পাড়া, কাইছারপাড়া কুইলারটেশসহ ১৭টি গ্রাম; দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে বাতিঘরপাড়া এলাকায় পাঁচটি গ্রাম, লেমশিখালী ইউনিয়নে সতরউদ্দিন, পেয়ারাকাটা, নয়াকাটা, দরবার ঘাট এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে পরান সিকদারপাড়া, মহাজনপাড়া, এলাদাদ মিয়াপাড়া, মতির বাপের পাড়া, মলনচরসহ আটটি গ্রাম এবং আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে কুমিরারছড়া জেলেপাড়া, আনিচের ডেইল, পূর্ব তাবলরচর, পশ্চিম তাবলরচর, বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা, হায়দার বাপের পাড়া, কাহারপাড়া, কাজীরপাড়াসহ ১২টি গ্রামে জোয়ারে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এসব গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এসব গ্রামে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০টি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, গতকাল সকালে জোয়ারের পানির তোড়ে দ্বীপের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামে আবু তালেবের ছেলে আবদুল মান্নান মধু (৬) পানির তোড়ে ভেসে যায়। বিকেলে পানি নেমে গেলে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আহমেদ জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাউবোর বেড়িবাঁধের স্লুইস গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের লোনা পানিতে প্লাবিত এলাকার ঘরবাড়ির লোকজনকে নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Blogger Comment
Facebook Comment