সড়কের ওপর সাঁকো

প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ আবারও ভেঙে বিশাল এলাকা পল্গাবিত হয়েছে। সাগরে প্রবল স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় টেকনাফ শাহপরীর সড়কের বিশাল অংশ।

এতে শাহপরীর দ্বীপ দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ একটি আলাদা দ্বীপে পরিণত হয়েছে। দ্বীপবাসী নৌকা নিয়ে যোগাযোগ করে টেকনাফ সদরের সঙ্গে। এতে মানুষের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সাগরে বিলীন হয়েছে দেড়শতাধিক ঘরবাড়ি। শাহপরীর দ্বীপের শতশত মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। যাদের আশপাশে স্বজন রয়েছে তারা সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে। আর যে সব মানুষের কেউ নেই তারা শাহপরীর দ্বীপের জেটি ও মানুষের বাড়ির আঙিনায় কোনো রকমে ঠাঁই করে নিয়েছে।
তাছাড়া বেড়িবাঁধের অক্ষত অংশে ওইসব বানভাসী মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিদিন বাসস্থান ছাড়া মানুষগুলো অপেক্ষায় থাকে একমুঠো সাহায্যের আশায়। কিন্তু কেউ আসে না। গত ২২ জুলাই থেকে মানুষগুলোকে একটু সহায্য করতে আসেনি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৪২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি ৭০০ ব্যক্তিকে খাবার পানি, খাবার স্যালাইন, চাল, গুড়সহ শুষ্কখাবার বিতরণ করেন। বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান বলেন, বিজিবি প্রথমে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া ও জালিয়া পাড়ার ৩০০ পরিবারের তালিকা করে ওই পণ্যগুলো বিতরণ করে আসছিল। সেখানে এসে মানুষের দুর্ভোগ দেখে ওই পণ্যগুলোকে ৭০০ পরিবারকে ভাগ করে বিতরণ করা হয়েছে। এই প্রথম ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া মানুষের সাহয্যে এগিয়ে এলো বিজিবি।
টেকনাফ সাবরাং এলাকার পাঁচশতাধিক চিংড়ি ঘেরের মাছ ভেসে গিয়ে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছচাষি। তাছাড়া কৃষকের চারা লোনাপানির নিচে তলিয়ে গেছে। আগের মতো আবার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফিরে গেল এ দ্বীপ। স্থানীয় সংসদ সদস্য বদিউল আলম বদি বলেন, তিনি চলতি বছরেও সাড়ে আট কোটি টাকার বেড়িবাঁধে কাজ করেছেন। তিনি এখনও আশা ছাড়েননি আবার যাবেন সংশিল্গষ্ট মন্ত্রণালয়ের দফতরে। আবার নিয়ে আসবে কোটি টাকা আবার মেরামত হবে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ। অন্যদিকে সাগরের পানির ধাক্কায় সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে শাহপরীর দ্বীপ যে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলো তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার যে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে তা এখন সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করছে ওই বিষয়ে সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. আলী বলেন, বেড়িবাঁধের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এনে এমপি ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা টাকার ভাগ বসায়, তাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা শেষ হয় না। দ্বীপবাসীর দুঃখও শেষ হচ্ছে না।
এ বেড়িবাঁধ কেন বারবার বাঁধ মেরামত করা হয় প্রতি বছর। প্রতিবারই ভেঙে যায়। এ দ্বীপে বসবাসকারীরা আর লোক দেখানো বেড়িবাঁধ চান না। তাদের বসতঘর, চাষের জমি বাগানের ফসল রক্ষা হয় এমন বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান দ্বীপের মানুষ। বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের সাব ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার য়ে মাটি বালি ও বল্গকের কাজ ছিল, তা শেষ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য বদি যদিও সাড়ে ৮ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেন, ঠিকাদার সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার কাজ করেছে। বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশটি যখন মেরামতের কাজ শুরু করে সংসদ সদস্য বদি টেকসই বাঁধের কথা বলেছিলেন।
কক্সবাজার সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের পানি বেড়ে এসব দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment