পেকুয়ার ২০ হাজার মানুষ ফের পানিবন্দি

আবারও পানির নিচে তলিয়ে গেছে পেকুয়ার বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এ নিয়ে গত ২ মাসে ৭ বার প্লাবিত হয়েছে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও প্রতিবেশী উজানটিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ বিপুল এলাকা।

ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ দিয়ে সাগরের জোয়ারের লোনা পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করে উপকূলবর্তী ২ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সাগরের সঙ্গে একাকার হয়েছে উপকূল। রাস্তাঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো পানির নিচে রয়েছে। ৩-৪ হাজার বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢোকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
২ মাস আগে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সর্ব দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট কাকপাড়া মাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত ৬৪.২/বি ফোল্ডারের প্রায় অর্ধকিলোমিটার বেড়িবাঁধ পূর্ণিমার জোয়ারের স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। বিলীন হওয়া ওই অংশ দিয়ে সাগরের জোয়ারের লোনা পানি অব্যাহতভাবে লোকালয়ে প্রবেশ করে উপজেলার মগনামা ও পাশের উজানটিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মগনামা ও উজানটিয়ার ইউনিয়নের অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি পাকা-কাঁচা গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। বারবার পানি ওঠায় এই দুই ইউনিয়নের অন্তত পাঁচশ' কাঁচাঘরের দেয়াল বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া চার থেকে পাঁচ হাজার বসতঘরে পানি ওঠায় এসব এলাকার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে সাইক্লোন শেল্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়।
এদিকে ৫ দিন আগে থেকে সাগরের অমাবস্যার জো শুরু হয়েছে। ফলে ৫ দিন ধরে ওই বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে সাগরের পানি লোকালয়ে অব্যাহতভাবে প্রবেশ করে মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া, ডলইান্যাপাড়া, কালারপাড়া, শুদ্ধখালী পাড়া, পূর্বকূল, মটকাভাঙা, চেরাংঘোনা, দরদরিয়া ঘোনা, মগঘোনা, রুকুর দিয়া, বাইন্যাঘোনা, পাশের উজানটিয়া ইউনিয়নের ঘোষালপাড়া, নতুন ঘোনা, পেকুয়ার চর, সুতাচোরাসহ বিপুল এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আবারও চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ওই ২ ইউনিয়নের অন্তত ২ হাজার একর জমিতে লোনা পানির কারণে কৃষক চাষ করতে পারেনি। ফলে এসব এলাকায় স্থানীয় অর্থনীতিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বেকার হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নতুন করে পানি ওঠায় উজানটিয়ার সঙ্গে মগনামা কাজী বাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া সোনালী বাজারের সঙ্গে কইড়া বাজারের সড়ক বিচ্ছন্ন রয়েছে। কালারপাড়ার সঙ্গে শুদ্ধাখালী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এম মাইনুদ্দিন খান জানান, মগনামার বেড়িবাঁধের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে।
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment