‘৪০০ থেকে ৫০০ লোক শাবল-খুঁন্তি নিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে এই মূর্তিতে আঘাত করেছে। কিন্তু দুটি অংশে ফাটল ছাড়া ১০০ ফুট লম্বা এশিয়ার বৃহৎ এই মূর্তির কিছুই হয়নি। অদৃশ্য শক্তিই বুদ্ধকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অদৃশ্য শক্তির কাছে অপশক্তির পরাজয় হয়েছে।’
ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের রামু উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি পাহাড়চূড়ায় স্থাপিত বিমুক্তি ভাবনা কেন্দ্রে বৌদ্ধবিহার পরিদর্শনে গেলে বিহারের প্রতিষ্ঠাতা করুণাশ্রী ভিক্ষু মহাথের এ কথা বলেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের কারিগরেরা বিশেষ এই মূর্তিটি তৈরি করেন। তৈরির টাকা জোগান দিয়েছে থাইল্যান্ড, চীন ও জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। ২০০৬ সালে এটির নির্মাণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। কিছুদিনের মধ্যে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। এর আগে সোনালি রং লাগিয়ে মূর্তিটি আকর্ষণীয় করা হয়েছে।
কক্সবাজার শহর থেকে সিংহমূর্তিটির অবস্থা দেখতে এসেছেন কয়েকজন রাখাইন নারী। এঁদের একজন মা ছিন হ্লা (৪৪) বলেন, ‘একটা লোক অন্যায় করে ফেসবুকে আপত্তিকর একটি ছবি লাগিয়েছিল। আর তার জন্য আরেকটি ধর্মের দেবতাকে শাস্তি পেতে হবে কেন?’
এর আগে রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় আট মাস আগে থাইল্যান্ড থেকে আনা প্রায় আট মণ ওজনের গৌতম বুদ্ধের সোনালি মূর্তিটির ডান চোখ নেই। আগুনের ফুলকিতে এটি উড়ে গেছে। নিচের দুই পা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। দূরের লোকজন প্রধান ফটক দিয়ে মন্দিরে ঢোকামাত্র এই কঠিন দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বিশাল এই মূর্তির নিচে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আরও ছোট-বড় অর্ধশতাধিক পোড়া মূর্তি।
এই বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, শনিবার গভীর রাতের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই মন্দিরের তিন শতাধিক ছোট-বড় মূর্তি পুড়ে গেছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক পোড়া মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আরও ১১টি মন্দিরে পুড়ে গেছে ছোট-বড় আরও তিন শতাধিক মূর্তিসহ প্রাচীন নিদর্শন।
রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান বলেন, সোমবার বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে খোলা আকাশের নিচে থাকা শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু বেকায়দায় পড়ে। পরে সেনাসদস্যরা ৩০টি পরিবারের মধ্যে তাঁবু বিতরণ করেন।
উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া বড়ুয়াপাড়ায় শনিবার রাতের অগ্নিসংযোগে একসঙ্গে ১৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, নারী-শিশুরা তাঁবুর ভেতরে-বাইরে জটলা করছে। বৃষ্টির কারণে তাঁবুর নিচের মাটি ভিজে গেছে। বড়ুয়াপাড়ার বৃদ্ধা অনন্যা বালা বড়ুয়া (৭০) বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁবু দিয়ে আমাদের উপকার করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ায় তাঁবুতে থাকা যাচ্ছে না। আমাদের পুড়ে যাওয়া ঘর কখন ফিরে পাব?’
কক্সবাজার শহর থেকে সিংহমূর্তিটির অবস্থা দেখতে এসেছেন কয়েকজন রাখাইন নারী। এঁদের একজন মা ছিন হ্লা (৪৪) বলেন, ‘একটা লোক অন্যায় করে ফেসবুকে আপত্তিকর একটি ছবি লাগিয়েছিল। আর তার জন্য আরেকটি ধর্মের দেবতাকে শাস্তি পেতে হবে কেন?’
এর আগে রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় আট মাস আগে থাইল্যান্ড থেকে আনা প্রায় আট মণ ওজনের গৌতম বুদ্ধের সোনালি মূর্তিটির ডান চোখ নেই। আগুনের ফুলকিতে এটি উড়ে গেছে। নিচের দুই পা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। দূরের লোকজন প্রধান ফটক দিয়ে মন্দিরে ঢোকামাত্র এই কঠিন দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বিশাল এই মূর্তির নিচে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আরও ছোট-বড় অর্ধশতাধিক পোড়া মূর্তি।
এই বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, শনিবার গভীর রাতের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই মন্দিরের তিন শতাধিক ছোট-বড় মূর্তি পুড়ে গেছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক পোড়া মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আরও ১১টি মন্দিরে পুড়ে গেছে ছোট-বড় আরও তিন শতাধিক মূর্তিসহ প্রাচীন নিদর্শন।
রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান বলেন, সোমবার বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে খোলা আকাশের নিচে থাকা শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু বেকায়দায় পড়ে। পরে সেনাসদস্যরা ৩০টি পরিবারের মধ্যে তাঁবু বিতরণ করেন।
উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া বড়ুয়াপাড়ায় শনিবার রাতের অগ্নিসংযোগে একসঙ্গে ১৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, নারী-শিশুরা তাঁবুর ভেতরে-বাইরে জটলা করছে। বৃষ্টির কারণে তাঁবুর নিচের মাটি ভিজে গেছে। বড়ুয়াপাড়ার বৃদ্ধা অনন্যা বালা বড়ুয়া (৭০) বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁবু দিয়ে আমাদের উপকার করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ায় তাঁবুতে থাকা যাচ্ছে না। আমাদের পুড়ে যাওয়া ঘর কখন ফিরে পাব?’
Blogger Comment
Facebook Comment