চট্টগ্রাম থেকে ১৫৯ কি.মি. দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে কক্সবাজার জেলার অবস্থান। পাহাড়, সাগর, দ্বীপ, নদী ও সমতল ভূমির এক অনন্য মিলন মোহনা এ ককসবাজার। এ জেলায় রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত যার দৈর্ঘ্য ১২০ কি.মি এবং এটি একটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর স্থান।
কক্সবাজার জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলা ও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নাফ নদী এবং মায়ানমার, দক্ষিন-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। এ জেলার আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কি.মি.।দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত, ভৌগলিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কল্যানে কক্সবাজার বাংলাদেশের গূরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ জেলার বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, নয়নাভিরাম প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ, দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়া দ্বীপ, রম্যভূমি রামূ, রামু লামার পাড়া বৌদ্ধ ক্যাঙ, কলাতলী, ইনানী সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ির ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দির, ইতিহাস খ্যাত কানারাজার গুহা, রাখাইন পল্লী দেশ-বিদেশের ভ্রমন পিপাসু পর্যটককে আকৃষ্ট করে।
পর্যটন শিল্পের বিকাশ, উন্নয়নের ক্ষেত্রে নবতর কলাকৌশল প্রয়োগ ও সবোর্র্পরি সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে জেলা প্রশাসন নিরলস কাজ করছে নিরন্তর। জেলার পর্যটন শিল্প ও কৃষি ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাব্যতা সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সেবার মান ও গতিশীলতা বৃ্দ্ধি এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন এ জেলা তথ্য বাতায়ন বা ওয়েব পোর্টাল বির্নিমানের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করা যায় এ জেলা তথ্য বাতায়ন বা ওয়েব পোর্টাল তথ্য প্রবাহের এ যুগে জেলার অধিবাসী, প্রবাসী তথা সর্বস্তরের জনগণের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করবে।
>>জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে...
Blogger Comment
Facebook Comment