দফায় দফায় জাহাজ বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণকারী পর্যটকরা।
গত এক সপ্তাহেই টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী এমভি সোনারগাঁও জাহাজটি দুই দফায় বিকল হয়ে পড়ে।
সেই বিকল জাহাজটি বর্তমানে নাফ নদের টেকনাফ জেটিতে নোঙর করা রয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত এটি সচল করা যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের (বিআইডাবি্লউটিসি) মালিকানাধীন এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামক অন্য একটি জাহাজ এ রুটে চলাচল করছে 'সমুদ্রে চলাচল অনুমোদনপত্র' (ভয়েজ লাইসেন্স) ছাড়াই। বর্তমানে জাহাজ দুটির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে ছয়টি পর্যটক যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করছে। জাহাজগুলো হচ্ছে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ, এমভি ঈগল, এলসিটি কুতুবদিয়া, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত। গত ১৫ নভেম্বর থেকে জাহাজগুলো এ রুটে চলাচল শুরু করে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত জাহাজগুলোর চলাচলে কর্তৃপক্ষীয় অনুমতি রয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম নাজিম উদ্দিন জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় সাধারণত সাগর শান্ত থাকে। পর্যটন মওসুমের এ সময়ে অন্তত দুই থেকে আড়াই লাখ পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, জাহাজগুলোর চলাচলে একে তো সময় ঠিক থাকে না, তদুপরি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়া। নাফ নদের টেকনাফে জেটি সমস্যার কারণেও যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নড়বড়ে জেটিতে ঝুঁকির মধ্যে জাহাজে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। গত ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে এ রকম একটি জেটি ভেঙে আহত হয়েছিলেন অর্ধ শতাধিক পর্যটক। জেটি ভেঙে আহত পর্যটকদের শেষ পর্যন্ত দ্বীপ সফরে যাওয়া আর হয়নি। জাহাজগুলোর ধারণ ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জাহাজের স্থানীয় পরিচালকদের পক্ষে এ ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিআইডাবি্লউটিসি কর্তৃক স্ক্র্যাপ ঘোষিত জাহাজও এ রুটে চলাচল করছে। কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটর মাহবুবুর রহমান জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে চলাচলকারী জাহাজগুলোর এ রকম কর্মকাণ্ডের কারণে দ্বীপ ভ্রমণকারীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণকারী যাত্রীদের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি জাহাজ বিকল হয়ে পড়ার কারণে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় দেড় হাজার পর্যটক নিয়ে এমভি সোনারগাঁও জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদের মোহনায় বিকল হয়ে পড়ে। মাত্র ৮৫০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে পুরো এক রাতসহ ১৫ ঘণ্টা সাগরে আটকে পড়ার পর টেকনাফে ফিরে আসে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে নিশ্চিত হন, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের জাহাজ দুটি চালানো হচ্ছিল সমুদ্রে চলাচল অনুমোদনপত্র ছাড়াই। এ কারণে সেদিনই জাহাজ দুটির চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
জাহাজটির স্থানীয় পরিচালক মেসার্স বে অব বেঙ্গল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তোফায়েল আহমদ জানান, এটি জার্মানির তৈরি একটি বিলাসবহুল জাহাজ। এত সহজে জাহাজটি বিকল হওয়ার কথা নয়। ব্যবসায়িক অসাধু প্রতিযোগিতাসহ নানাভাবে জাহাজটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্যই এ রকম 'বিকল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।'
জানা গেছে, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে ছয়টি পর্যটক যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করছে। জাহাজগুলো হচ্ছে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ, এমভি ঈগল, এলসিটি কুতুবদিয়া, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত। গত ১৫ নভেম্বর থেকে জাহাজগুলো এ রুটে চলাচল শুরু করে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত জাহাজগুলোর চলাচলে কর্তৃপক্ষীয় অনুমতি রয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম নাজিম উদ্দিন জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় সাধারণত সাগর শান্ত থাকে। পর্যটন মওসুমের এ সময়ে অন্তত দুই থেকে আড়াই লাখ পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, জাহাজগুলোর চলাচলে একে তো সময় ঠিক থাকে না, তদুপরি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়া। নাফ নদের টেকনাফে জেটি সমস্যার কারণেও যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নড়বড়ে জেটিতে ঝুঁকির মধ্যে জাহাজে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। গত ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে এ রকম একটি জেটি ভেঙে আহত হয়েছিলেন অর্ধ শতাধিক পর্যটক। জেটি ভেঙে আহত পর্যটকদের শেষ পর্যন্ত দ্বীপ সফরে যাওয়া আর হয়নি। জাহাজগুলোর ধারণ ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জাহাজের স্থানীয় পরিচালকদের পক্ষে এ ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিআইডাবি্লউটিসি কর্তৃক স্ক্র্যাপ ঘোষিত জাহাজও এ রুটে চলাচল করছে। কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটর মাহবুবুর রহমান জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে চলাচলকারী জাহাজগুলোর এ রকম কর্মকাণ্ডের কারণে দ্বীপ ভ্রমণকারীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণকারী যাত্রীদের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি জাহাজ বিকল হয়ে পড়ার কারণে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় দেড় হাজার পর্যটক নিয়ে এমভি সোনারগাঁও জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদের মোহনায় বিকল হয়ে পড়ে। মাত্র ৮৫০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে পুরো এক রাতসহ ১৫ ঘণ্টা সাগরে আটকে পড়ার পর টেকনাফে ফিরে আসে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে নিশ্চিত হন, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের জাহাজ দুটি চালানো হচ্ছিল সমুদ্রে চলাচল অনুমোদনপত্র ছাড়াই। এ কারণে সেদিনই জাহাজ দুটির চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
জাহাজটির স্থানীয় পরিচালক মেসার্স বে অব বেঙ্গল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তোফায়েল আহমদ জানান, এটি জার্মানির তৈরি একটি বিলাসবহুল জাহাজ। এত সহজে জাহাজটি বিকল হওয়ার কথা নয়। ব্যবসায়িক অসাধু প্রতিযোগিতাসহ নানাভাবে জাহাজটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্যই এ রকম 'বিকল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।'
Blogger Comment
Facebook Comment