কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টসহ প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থাপিত সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সরকারি একটি অনুসন্ধানদল সুশীল সমাজসহ স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য নেয়। সৈকত থেকে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই অনুসন্ধানদল গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরূপ চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মো. শামীম ইকবাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দীপক কান্তি পাল, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইব্রাহিম খলিল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু ছালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাফর আলম, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুলকৃষ্ণ দাশ প্রমুখ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন সব স্থাপনা সৈকত থেকে উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু লাবণী পয়েন্টে স্থাপিত পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, জেলা পরিষদ, বন বিভাগসহ সরকারি কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের মতামত নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, বিজিবি রেস্টহাউস আগে পাহাড়ের ওপরে ছিল। সমুদ্রের গর্জন শোনার জন্য সেটি সৈকতে নিয়ে আসা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সৈকতে বাংলো, ফাঁড়ি, বিপণিকেন্দ্র, হোটেল-রেস্তোরাঁ স্থাপন করে ব্যবসা করছে। ভ্রমণ ও বিনোদনের জন্য সৈকতে এসব অপ্রয়োজনীয়। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হোক।
ব্যক্তিমালিকানাধীন অবকাঠামোর পাশাপাশি সরকারি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করতে হবে বলে দাবি জানান জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী। কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এই সৈকতে যেকোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কতিপয় ব্যক্তি নানা ব্যবসাকেন্দ্র তৈরি করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা সৈকতে নামার স্থানে শতাধিক দোকানপাট স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন কক্সবাজার আদালতের এপিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদুল আলম।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুহামঞ্চদ শাহজাহান বলেন, শুধু লাবণী পয়েন্ট নয়, হাইকোর্টের নির্দেশমতো পুরো ১২০ কিলোমিটার সৈকত থেকে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। ইনানী সোনারপাড়ার চিংড়ি হ্যাচারিগুলো পরিবেশ ধ্বংস করছে। তাই সেগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তা বন্ধ করতে পারছি না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। জিওটেক্স (এক ধরনের বাঁধ) দিয়েও আমরা সমুদ্র-আগ্রাসন থেকে উপকূল রক্ষা করতে পারছি না।’
অনুষ্ঠানে সরকারি একটি অনুসন্ধানদল সুশীল সমাজসহ স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য নেয়। সৈকত থেকে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই অনুসন্ধানদল গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরূপ চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মো. শামীম ইকবাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দীপক কান্তি পাল, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইব্রাহিম খলিল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু ছালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাফর আলম, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুলকৃষ্ণ দাশ প্রমুখ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন সব স্থাপনা সৈকত থেকে উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু লাবণী পয়েন্টে স্থাপিত পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, জেলা পরিষদ, বন বিভাগসহ সরকারি কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের মতামত নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, বিজিবি রেস্টহাউস আগে পাহাড়ের ওপরে ছিল। সমুদ্রের গর্জন শোনার জন্য সেটি সৈকতে নিয়ে আসা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সৈকতে বাংলো, ফাঁড়ি, বিপণিকেন্দ্র, হোটেল-রেস্তোরাঁ স্থাপন করে ব্যবসা করছে। ভ্রমণ ও বিনোদনের জন্য সৈকতে এসব অপ্রয়োজনীয়। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হোক।
ব্যক্তিমালিকানাধীন অবকাঠামোর পাশাপাশি সরকারি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করতে হবে বলে দাবি জানান জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী। কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এই সৈকতে যেকোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কতিপয় ব্যক্তি নানা ব্যবসাকেন্দ্র তৈরি করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা সৈকতে নামার স্থানে শতাধিক দোকানপাট স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন কক্সবাজার আদালতের এপিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদুল আলম।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুহামঞ্চদ শাহজাহান বলেন, শুধু লাবণী পয়েন্ট নয়, হাইকোর্টের নির্দেশমতো পুরো ১২০ কিলোমিটার সৈকত থেকে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। ইনানী সোনারপাড়ার চিংড়ি হ্যাচারিগুলো পরিবেশ ধ্বংস করছে। তাই সেগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তা বন্ধ করতে পারছি না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। জিওটেক্স (এক ধরনের বাঁধ) দিয়েও আমরা সমুদ্র-আগ্রাসন থেকে উপকূল রক্ষা করতে পারছি না।’
Blogger Comment
Facebook Comment