কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে নির্বিঘ্নে শামুক পাচার চলছেই। এ সৈকত থেকে এক মাস পরপর পাচার হয় ১০ টন শামুক! এতে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করলেও সৌন্দর্য হারাচ্ছে সোনাদিয়া সৈকত।
জানা যায়, বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে শামুক পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ওই প্রভাবশালী চক্র। দিনদুপুরে পাচারকাজ চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

সোনদিয়া সৈকত থেকে শামুক সংগ্রহ করতে দেখা গেল সিরাজ মিয়া (৩০), বুড়ি বেগম (৩৬) ও আনোয়ার হোসেনসহ (৫৫) অনেককে। তারা জানান, বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবেই তারা শামুক সংগ্রহের কাজে জড়িত রয়েছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই তারা শামুক সংগ্রহ করেন। ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা শামুক তারা বিক্রি করেন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। কারা এ শামুক সংগ্রহ করে জিজ্ঞেস করা হলে তারা এর কোনো উত্তর দেননি।
সূত্র জানায়, মূলত স্থানীয় প্রভাবশালী ওই মহলটিই সংগ্রহকারীদের থেকে বস্তাভর্তি শামুক কিনে নেয়। তারা প্রতি বস্তা শামুক ৪০-৫০ টাকায় কিনলেও তা বিক্রি করে ১৪০-১৫০ টাকায়। চক্রটি সাগরপথে ট্রলারে করে এক মাস পরপর ১০ টন শামুক চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফর নাগু সমকালকে বলেন, 'আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় বেশ কিছু পরিবার সৈকতের শামুক বিক্রি করে সংসার চালায়।' অন্যদিকে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর দাবি করেন, শামুক পাচারের সঙ্গে বন বিভাগের কেউ জড়িত নেই।
একই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউএনও এটিএম কাউছার হোসেন বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Blogger Comment
Facebook Comment