শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণিকে গত ২৯ মার্চ প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের পর বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যাকারীরা।
এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ বৃহত্তর কালারমারছড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওসমান গণি নিহত হওয়ার পর কালারমারছড়া এলাকায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেমের ক্যাডাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাবার ধারাবাহিকতায় উত্তর মহেশখালীর আন্দোলনের রূপকার নিহত ওসমান চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে উত্তর মহেশখালী বাস্তবায়নের স্বার্থে ৫ ইউনিয়নবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ভোট দিলেও ধলঘাটার কামরুল হাসানের ডামি প্রার্থিতার কারণে অল্প ভোটে হেরে যান। অবহেলিত ৫ ইউনিয়নের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত তৎপরতায় কালারমারছড়ায় পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করেন তিনি। কালারমারছড়ার অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িকে স্থায়ী তদন্তকেন্দ্রে রূপান্তরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন_ যা প্রক্রিয়াধীন। কালারমারছড়া স্থানীয় হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রচেষ্টা, অবহেলিত ইউনিয়ন ধলঘাটায় বিদ্যুৎ সংযোগ, কালারমারছড়ার ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠটিকে শহীদ মোহাম্মদ শরীফ স্টেডিয়ামে রূপান্তরের প্রচেষ্টা ও মহেশখালীর লবণচাষিদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়াকে কালারমারছড়া বাজার মাঠে এনে লবণচাষি সমাবেশের মাধ্যমে লবণের মূল্য বৃদ্ধির জোর দাবি জানান তিনি। এতে মহেশখালীবাসী লবণের ন্যায্য মূল্য পায়। সর্বোপরি মহেশখালী উন্নয়নের রূপকার নিহত ওসমানের পরিবারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রভাবশালী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে কালারমারছড়ার তৎকালীন রাজাকার, শান্তি কমিটির নেতা জালাল আহমদের ছেলে মীর কাশেম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নির্মম ও নৃশংসভাবে তাকে খুন করা হয়।
এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মহেশখালীর ক্রাইমজোন হিসেবে খ্যাত কালারমারছড়া বাজার এলাকায় র্যাব ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ূয়া বলেন, কালারমারছড়ায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Blogger Comment
Facebook Comment