কক্সবাজারের টেকনাফে এক হাজার ৪৮২ একর জমির পানের বরজে পাতাপচা ও ছত্রাক রোগে মড়ক দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, মাত্রাতিরিক্ত জৈব সার ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ছত্রাক আক্রান্ত হয়ে পাতা শুকিয়ে বরজ নষ্ট হচ্ছে।
হঠাৎ করে এ রোগের প্রাদুর্ভাবে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার চাষি এবার এক হাজার ৯৭৬ একর (৮০০ হেক্টর) জমিতে পানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে বেশি জমি চাষ করা হয়েছিল সাবরাং, বাহারছড়া, টেকনাফ সদর ও হ্নীলা ইউনিয়নে। কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত জৈব সার ব্যবহারের কারণে পানের ফলন ভালো হয়নি। তার ওপর পাতাপচা ও ছত্রাক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৪৮২ একর জমির পান। আক্রান্ত বরজের পান কালো ও হলুদ হয়ে গেছে। বর্তমানে ৪৯৪ একর (২০০ হেক্টর) জমিতে পানের বরজ রোগমুক্ত রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পানের বরজ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বরজের পাতায় ছোপ ছোপ কালো ও হলুদ দাগ। কয়েকজন চাষি বলেন, বর্তমানে পান চাষ বেশ লাভজনক। বিদেশে পান রপ্তানি করার সুবাদে চাষিরা কয়েক বছর ধরে পান চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। কিন্তু এবার রোগাক্রান্ত পান নিয়ে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাবরাংয়ের পানচাষি ফজলুল হক ও আমেনা খাতুন বলেন, চলতি মৌসুমে পান চাষে লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকা পাওয়া যাবে কি না সহেন্দ রয়েছে। কারণ গতবারের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশায় আগাম পান চাষে নামা হয়েছিল। যেখানে গত বছর প্রতি বিড়া পান ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, সেই পান এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। বিপুল পরিমাণ আয়ের আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চাষিদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে পাতাপচা ও ছত্রাক রোগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী শেখ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘চাষিরা আমাদের পাতাপচা ও ছত্রাক রোগ সম্পর্কে কিছু জানাননি।’ টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি ছত্রাক আক্রান্ত রোগ, যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পানের বরজ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বরজের পাতায় ছোপ ছোপ কালো ও হলুদ দাগ। কয়েকজন চাষি বলেন, বর্তমানে পান চাষ বেশ লাভজনক। বিদেশে পান রপ্তানি করার সুবাদে চাষিরা কয়েক বছর ধরে পান চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। কিন্তু এবার রোগাক্রান্ত পান নিয়ে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাবরাংয়ের পানচাষি ফজলুল হক ও আমেনা খাতুন বলেন, চলতি মৌসুমে পান চাষে লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকা পাওয়া যাবে কি না সহেন্দ রয়েছে। কারণ গতবারের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশায় আগাম পান চাষে নামা হয়েছিল। যেখানে গত বছর প্রতি বিড়া পান ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, সেই পান এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। বিপুল পরিমাণ আয়ের আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চাষিদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে পাতাপচা ও ছত্রাক রোগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী শেখ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘চাষিরা আমাদের পাতাপচা ও ছত্রাক রোগ সম্পর্কে কিছু জানাননি।’ টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি ছত্রাক আক্রান্ত রোগ, যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ।
Blogger Comment
Facebook Comment