পরম যত্নে গড়া সমুদ্র বিলাসে আর আসবেন না হুমায়ূন আহমেদ। ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নাট্যপরিচালক মাসুদ রানা, স্ত্রী শাওন, দুই সন্তান নিশাদ ও নিনিতসহ হুমায়ূন আহমেদ সর্বশেষ এখানে এসেছিলেন। কে জানতো এ আসাই তার শেষ আসা হবে!
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশের দক্ষিণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় এটি অবস্থিত। এ দ্বীপটি দেশবিদেশের পর্যটকদের কাছে যিনি বেশি পরিচিত করে তুলেছেন, তিনি হুমায়ূন আহমদ। তার মৃত্যুতে দ্বীপ জুড়ে বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের তরুণ খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আকবরের মেয়ে জুলেখা খাতুনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২২ শতক জমি কেনেন ঢাকার ধানমণ্ডি থানার সাত-সি, এলিফ্যান্ট পার্ক, এলিফ্যান্ট রোডের মৃত ফয়েজুর রহমান আহমদের ছেলে হুমায়ূন আহমেদ।
তার নামে টেকনাফ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-কবলা দলিল মূলে ওই জমিটি কেনেন তিনি। পরে ১৯৯৪ সালে সেখানে তিনি একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির নাম দেন `সুমদ্র বিলাস`।
ওই সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিক ও মোহাম্মদ ওসমানকে বাড়িটি দেখাশোনার জন্য মাসিক বেতনভুক্ত করে দায়িত্ব দেন।
সেন্টমার্টিনের পান্না রিসোর্টের মালিক মোল্লা বশির আহমদ পান্না বাংলানিউজকে জানান, হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, সেন্টমার্টিন নামে একটি প্রবাল দ্বীপ রয়েছে। সেখানে তিনি `সুমদ্র বিলাস` নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
পরে হুমায়ূন আহমেদের অনুপ্রেরণায় ১৯৯৮ সালে সেন্টমার্টিনে জমি কিনে তিনিও একটি কটেজ নির্মাণ করেন। এর পর ঢাকার শতাধিক ব্যক্তি ওই দ্বীপে জমি কিনে পযর্টনশিল্প বিকাশের পাশাপাশি পর্যটন এলাকা গড়ে তুলেছেন।
সেন্টমার্টিনের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা ফিরোজ আহমদ খাঁন বাংলানিউজকে জানান, একমাত্র হুমায়ূন আহমেদের অনুপ্রারণায় অবহেলিত এ দ্বীপটি পৃথিবী জুড়ে পযর্টকদের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৯৪ সালে দ্বীপে একটি বাঁশের বেড়া ও টিনশেডের কটেজ নির্মাণ করে এ দ্বীপের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেন তিনি।
সেন্টমার্টিনের সমুদ্র বিলাসের কেয়ার টেকার মোহাম্মদ শফিক ও মোহাম্মদ ওসমান বাংলানিউজকে জানান, এ দ্বীপে হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৪ সালে প্রথম একটি বাঁশের বেড়া ও টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করেন। তখনও এ দ্বীপে অন্য কোনো কটেজ নির্মিত হয়নি। তাই, বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য দেশি-বিদেশি অনেক পযর্টকই এ দ্বীপে ছুটে আসেন।
তারা আরও জানান, সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নাট্যপরিচালক মাসুদ রানা, স্ত্রী শাওন, দুই সন্তান নিশাদ ও নিনিতসহ হুমায়ূন আহমেদ এসেছিলেন।
বর্তমানে ওই বাড়িটি লিজ নিয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান রাসেল, চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন।
ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান রাসেল বাংলানিউজকে জানান, সর্বপ্রথম বাড়িটি বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করে `সমুদ্র বিলাস আনন্দ আশ্রম` নামে ইজারা নিলেও স্যার অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়িক পার্টনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখানে স্যারের জীবন ও তার প্রকাশিত বইগুলোর একটি মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানান, স্যারের অসংখ্য প্রকাশিত বই থেকে দারুচিনি দ্বীপ, কোথাও কেউ নেই, আমার আছে জল, হিমুর মধ্য দুপুর, মিসির আলী আপনি কোথায়, শ্রাবণ মেঘের দিন নামে ৬টি কটেজ ও শঙ্খনীল কারাগার নামে একটি রেস্তোরাঁ স্থাপন করা হয়েছে এবং ওই এলাকাকে নুহাশ পয়েন্ট নামকরণ করা হয়েছে।
দ্বীপবাসীর মতে, সমুদ্র বিলাস একটি বাড়ির নাম। এ বাড়িটি পযর্টকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে। প্রতি মৌসুমে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন সমুদ্র বিলাস ও সেন্টমার্টিনের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য।
এটি অন্য ১০টি দ্বীপের মতোই একটি সাধারণ দ্বীপ ছিল। এ দ্বীপের ভ্রমণ কাহিনীকে ঘিরে তার লেখা ২টি বই- দারুচিনি দ্বীপ ও রূপালি দ্বীপ প্রকাশিত হওয়ার পরে দেশ-বিদেশের পযর্টকদের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা ভ্রমণে আগ্রহ জন্মে।

তার নামে টেকনাফ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-কবলা দলিল মূলে ওই জমিটি কেনেন তিনি। পরে ১৯৯৪ সালে সেখানে তিনি একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির নাম দেন `সুমদ্র বিলাস`।
ওই সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিক ও মোহাম্মদ ওসমানকে বাড়িটি দেখাশোনার জন্য মাসিক বেতনভুক্ত করে দায়িত্ব দেন।
সেন্টমার্টিনের পান্না রিসোর্টের মালিক মোল্লা বশির আহমদ পান্না বাংলানিউজকে জানান, হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, সেন্টমার্টিন নামে একটি প্রবাল দ্বীপ রয়েছে। সেখানে তিনি `সুমদ্র বিলাস` নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
পরে হুমায়ূন আহমেদের অনুপ্রেরণায় ১৯৯৮ সালে সেন্টমার্টিনে জমি কিনে তিনিও একটি কটেজ নির্মাণ করেন। এর পর ঢাকার শতাধিক ব্যক্তি ওই দ্বীপে জমি কিনে পযর্টনশিল্প বিকাশের পাশাপাশি পর্যটন এলাকা গড়ে তুলেছেন।
সেন্টমার্টিনের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা ফিরোজ আহমদ খাঁন বাংলানিউজকে জানান, একমাত্র হুমায়ূন আহমেদের অনুপ্রারণায় অবহেলিত এ দ্বীপটি পৃথিবী জুড়ে পযর্টকদের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৯৪ সালে দ্বীপে একটি বাঁশের বেড়া ও টিনশেডের কটেজ নির্মাণ করে এ দ্বীপের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেন তিনি।
সেন্টমার্টিনের সমুদ্র বিলাসের কেয়ার টেকার মোহাম্মদ শফিক ও মোহাম্মদ ওসমান বাংলানিউজকে জানান, এ দ্বীপে হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৪ সালে প্রথম একটি বাঁশের বেড়া ও টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করেন। তখনও এ দ্বীপে অন্য কোনো কটেজ নির্মিত হয়নি। তাই, বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য দেশি-বিদেশি অনেক পযর্টকই এ দ্বীপে ছুটে আসেন।
তারা আরও জানান, সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নাট্যপরিচালক মাসুদ রানা, স্ত্রী শাওন, দুই সন্তান নিশাদ ও নিনিতসহ হুমায়ূন আহমেদ এসেছিলেন।
বর্তমানে ওই বাড়িটি লিজ নিয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান রাসেল, চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন।
ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান রাসেল বাংলানিউজকে জানান, সর্বপ্রথম বাড়িটি বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করে `সমুদ্র বিলাস আনন্দ আশ্রম` নামে ইজারা নিলেও স্যার অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়িক পার্টনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখানে স্যারের জীবন ও তার প্রকাশিত বইগুলোর একটি মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানান, স্যারের অসংখ্য প্রকাশিত বই থেকে দারুচিনি দ্বীপ, কোথাও কেউ নেই, আমার আছে জল, হিমুর মধ্য দুপুর, মিসির আলী আপনি কোথায়, শ্রাবণ মেঘের দিন নামে ৬টি কটেজ ও শঙ্খনীল কারাগার নামে একটি রেস্তোরাঁ স্থাপন করা হয়েছে এবং ওই এলাকাকে নুহাশ পয়েন্ট নামকরণ করা হয়েছে।
দ্বীপবাসীর মতে, সমুদ্র বিলাস একটি বাড়ির নাম। এ বাড়িটি পযর্টকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে। প্রতি মৌসুমে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন সমুদ্র বিলাস ও সেন্টমার্টিনের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য।
এটি অন্য ১০টি দ্বীপের মতোই একটি সাধারণ দ্বীপ ছিল। এ দ্বীপের ভ্রমণ কাহিনীকে ঘিরে তার লেখা ২টি বই- দারুচিনি দ্বীপ ও রূপালি দ্বীপ প্রকাশিত হওয়ার পরে দেশ-বিদেশের পযর্টকদের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা ভ্রমণে আগ্রহ জন্মে।
Blogger Comment
Facebook Comment