কক্সবাজারের টেকনাফে অমাবস্যার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ১৯টি গ্রাম। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার আট হাজার পরিবারের অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে জোয়ার-ভাটায় মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।
কক্সবাজারের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, সাগরে এখন কোনো সংকেত নেই, কিন্তু ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই জোয়ারের পানিও স্বাভাবিকের চেয়ে এক-দুই ফুট বাড়তে পারে। সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, চিংড়িঘের, পানের বরজ, সুপারির বাগান ও বীজতলা ডুবে গেছে।
শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর নূর আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রমজানে মাসে শুরুতে ঘরের ভেতর হাঁটুসমান জোয়ারের পানি। কিন্তু ভাটার সময় সেই পানি নেমে যায়। তাই স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘরের ভেতর মাচা বেঁধে বসবাস করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর দুইটি পৃথক স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে জোয়ারের পানিতে উপজেলার ১৯ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসতবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলর আবদুল্লাহ মনির বলেন,‘সংশ্লিষ্ট এলাকাকে দুর্যোগকবলিত এলাকা ঘোষণার দাবি করছি এবং প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে মন্ত্রীদের এলাকা পরিদর্শন করে প্লাবিত এলাকার মানুষ কী রকম কষ্টে আছে, সেটা নিজ চোখে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ পাউবো টেকনাফ অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধে কোনো সংস্কারকাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বেড়িবাঁধে নতুন নতুন ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো শহীদুল ইসলাম বলেন, জোয়ারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমন ধানের বীজতলা ভেসে গেছে। কিন্তু পানি নেমে না যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর নূর আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রমজানে মাসে শুরুতে ঘরের ভেতর হাঁটুসমান জোয়ারের পানি। কিন্তু ভাটার সময় সেই পানি নেমে যায়। তাই স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘরের ভেতর মাচা বেঁধে বসবাস করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর দুইটি পৃথক স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে জোয়ারের পানিতে উপজেলার ১৯ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসতবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলর আবদুল্লাহ মনির বলেন,‘সংশ্লিষ্ট এলাকাকে দুর্যোগকবলিত এলাকা ঘোষণার দাবি করছি এবং প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে মন্ত্রীদের এলাকা পরিদর্শন করে প্লাবিত এলাকার মানুষ কী রকম কষ্টে আছে, সেটা নিজ চোখে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ পাউবো টেকনাফ অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধে কোনো সংস্কারকাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বেড়িবাঁধে নতুন নতুন ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো শহীদুল ইসলাম বলেন, জোয়ারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমন ধানের বীজতলা ভেসে গেছে। কিন্তু পানি নেমে না যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
Blogger Comment
Facebook Comment