‘তিন দিন ধরে বন্যার পানিতে বসতবাড়িটি ডুবে রয়েছে। মাচার ওপর ঠাঁই নিয়ে কোনোমতে সময় পার করছি। রান্নাবান্নার কোনো সুযোগ নাই। তাই কলা-মুড়ি খেয়েই প্রথম রোজাটা করলাম।
দ্বিতীয় রোজাটাও এভাবে কাটবে। তারপর কী হবে জানি না। এত কষ্টের রোজা গত ২০ বছরে আসেনি। বন্যা আমাদের সবকিছু ধংস করে দিল।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এসব কথা তুলে ধরেন কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আহমদ হোসেন (৫২)। বন্যার পানিতে তাঁর বসতবাড়িটি ডুবে গেলে ঘরের চাল-ডালসহ নিত্যপয়োজনীয় পণ্য নষ্ট হয়।

আহমদ হোসেনের মতো চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে। পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ বেড়িবাঁধ, সড়কের ওপরসহ বিভিন্ন স্থানে পলিথিনের অস্থায়ী ঝুপড়িঘর তৈরি করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
কাকারা গ্রামের দিনমজুর আবদুল আলিম (৪৬) বলেন, ‘প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাতামুহুরী নদীর পানি উপচে এই গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। তিন দিন ধরে এই বাঁধের ওপর ঝুপড়িঘর তৈরি করে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছি। কোথাও আয়-রোজগারের জন্য কাজকর্ম নাই বলে চাল, মাছ ও তরিতরকারি কিনতে পারছি না। প্রথম রোজা গেল আমাদের কলা-মুড়ি খেয়ে। ইফতার করেছি শুধু পানি আর মুড়ি খেয়ে। এভাবে কেউ রোজা রাখে? তৃতীয় দফার বন্যা হওয়ায় কেউ সাহায্য নিয়ে আমাদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে না।’
গতকাল দুপুরে দেখা গেছে, উপজেলার দিগরপানখালী গ্রামের একটি মসজিদের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছে বন্যার্ত ১৫টি পরিবার। নানা কষ্টে এরাও পার করে প্রথম রোজা। মসজিদের বারান্দায় আশ্রয় নেওয়া গিয়াস উদ্দিন (৪৩) বলেন, বন্যার স্রোতে তাঁদের বাড়িঘর মাতামুহুরী গিলে খেয়েছে। কোথাও যাওয়ার ব্যবস্থা নেই বলে তাঁরা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত তাঁদের এখানেই থাকতে হবে।
স্থানীয় দিগরপানখালী গ্রামের বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, তৃতীয় দফার এই বন্যায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যার স্রোতে প্রায় ৬০০ ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। দিগরপানখালীর অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রাস্তা বিলীন হওয়ায় লোকজন চলাচল করতে পারছে না।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বন্যায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে।
কাকারা গ্রামের দিনমজুর আবদুল আলিম (৪৬) বলেন, ‘প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাতামুহুরী নদীর পানি উপচে এই গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। তিন দিন ধরে এই বাঁধের ওপর ঝুপড়িঘর তৈরি করে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছি। কোথাও আয়-রোজগারের জন্য কাজকর্ম নাই বলে চাল, মাছ ও তরিতরকারি কিনতে পারছি না। প্রথম রোজা গেল আমাদের কলা-মুড়ি খেয়ে। ইফতার করেছি শুধু পানি আর মুড়ি খেয়ে। এভাবে কেউ রোজা রাখে? তৃতীয় দফার বন্যা হওয়ায় কেউ সাহায্য নিয়ে আমাদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে না।’
গতকাল দুপুরে দেখা গেছে, উপজেলার দিগরপানখালী গ্রামের একটি মসজিদের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছে বন্যার্ত ১৫টি পরিবার। নানা কষ্টে এরাও পার করে প্রথম রোজা। মসজিদের বারান্দায় আশ্রয় নেওয়া গিয়াস উদ্দিন (৪৩) বলেন, বন্যার স্রোতে তাঁদের বাড়িঘর মাতামুহুরী গিলে খেয়েছে। কোথাও যাওয়ার ব্যবস্থা নেই বলে তাঁরা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত তাঁদের এখানেই থাকতে হবে।
স্থানীয় দিগরপানখালী গ্রামের বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, তৃতীয় দফার এই বন্যায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যার স্রোতে প্রায় ৬০০ ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। দিগরপানখালীর অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রাস্তা বিলীন হওয়ায় লোকজন চলাচল করতে পারছে না।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বন্যায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে।
Blogger Comment
Facebook Comment