প্রবল বর্ষণ আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সৃষ্ট তৃতীয় দফার বন্যায় ডুবে রয়েছে কক্সবাজারের পাঁচটি উপজেলার ৭০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। এসব ঘরের প্রায় তিন লাখ মানুষ কয়েক দিন ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে।
যোগাযোগের সড়ক-রাস্তাঘাট বন্যার স্রোতে ভেঙে লন্ডভন্ড হওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে নৌকা নিয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার রামু উপজেলার রাজারকুল ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। লোকজনকে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রাজারকুল গ্রামের দিনমজুর রহিম উল্লাহ (৩৪) বলেন, ‘চার দিন ধরে কাজকর্ম নেই। আয়-রোজগার বন্ধ। আমি ও স্ত্রী রাতে কলা আর পানি খেয়ে রোজা রেখেছি। এখন ছেলেদের জন্য খাবারের সন্ধানে বের হয়েছি।’
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়ূব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই ইউনিয়নের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুসরাত জাহান বলেন, তিন দফার বন্যায় এ উপজেলায় তিন লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
রামু সমিতির সভাপতি ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বন্যার কবলে পড়ে এই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ এখন আধমরা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এই মুহূর্তে সরকার দুর্গত ব্যক্তিদের পাশে না দাঁড়ালে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা হচ্ছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তৃতীয় দফার বন্যায় নিমজ্জিত এই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের এক লাখ মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ যাচ্ছে। কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা আকতার বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করে উপজেলার ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ বাহাদুর বলেন, উপজেলার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামে খাদ্যসংকট চলছে। কক্সবাজার-৩ ( রামু-সদর) আসনের সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, এ বন্যায় হাজার হাজার মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তিন দফার বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এতে গৃহহীন প্রায় এক লাখ মানুষের এই রোজার মাসে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বেড়িবাঁধ ও সড়কের ওপর ঝুপড়িঘর তৈরি করে অবর্ণনীয় জীবন কাটাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে সরকারিভাবে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং বেসরকারিভাবে আরও কয়েক কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সড়ক ও বাঁধের পাশে আশ্রিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

রামু সমিতির সভাপতি ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বন্যার কবলে পড়ে এই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ এখন আধমরা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এই মুহূর্তে সরকার দুর্গত ব্যক্তিদের পাশে না দাঁড়ালে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা হচ্ছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তৃতীয় দফার বন্যায় নিমজ্জিত এই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের এক লাখ মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ যাচ্ছে। কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা আকতার বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করে উপজেলার ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ বাহাদুর বলেন, উপজেলার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামে খাদ্যসংকট চলছে। কক্সবাজার-৩ ( রামু-সদর) আসনের সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, এ বন্যায় হাজার হাজার মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তিন দফার বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এতে গৃহহীন প্রায় এক লাখ মানুষের এই রোজার মাসে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বেড়িবাঁধ ও সড়কের ওপর ঝুপড়িঘর তৈরি করে অবর্ণনীয় জীবন কাটাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে সরকারিভাবে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং বেসরকারিভাবে আরও কয়েক কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সড়ক ও বাঁধের পাশে আশ্রিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
Blogger Comment
Facebook Comment