মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছর এ সময় রমজান মাসকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে ছোলা আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। ফলে রমজানে ছোলার দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আমদানিকারক ও খুচরা বিক্রেতারা।টেকনাফ কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ৪৭ টন ছোলা আমদানি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
আকিয়াবের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ জানান, বর্তমানে কোনো মুসলমান ব্যবসা-বাণিজ্য করার অবস্থায় নেই। তাদের ধরে নিয়ে বিশাল অর্থ জরিমানা করছে সে দেশের নাসাকা বাহিনী। ফলে এ মুহূর্তে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে রমজানকে সামনে রেখে কোনো ব্যবসায়ী ছোলা নিয়ে আসছেন না। এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে শতকোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হবে। ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউর (এনবিআর) বেঁধে দেওয়া মাসিক ৮ কোটি টাকা রাজস্বের মধ্যে ৯০ লাখ টাকার মতো আদায় হয়েছে আমদানি না করা পণ্য কাঠ ও মাছ থেকে। বাকি প্রায় ৭ কোটি টাকার মতো রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলো টেকনাফ কাস্টম। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে টেকনাফ বন্দর, তা কেউ বলতে পারেনি।
টেকনাফ ল্যান্ডপোর্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু নুর খালিদ জানান, মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকে কোনো ব্যবসায়ী পণ্য নিয়ে আসেননি বন্দরে। তাই ওই বন্দর দিয়ে এবার ছোলা আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
Blogger Comment
Facebook Comment