কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক লাখ গাছ কেটে সংরক্ষিত বন দখলের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতার নাম উল্লেখসহ মোট ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাছ কাটা ও বন দখলে মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আগর বাগান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক রুহুল কাদের গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারভুক্ত করার জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একসময়ের শিবির ক্যাডার নুরুল আবচার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের তিন ভাই জসীম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নাজেম উদ্দিন, মহিউদ্দিন প্রমুখ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজার ৫০ হেক্টর আগর বাগানের এক লাখ গাছ কেটে বনভূমি দখলে নিয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড় কেটে জমি বের করার কারণে সরকারের নেওয়া সামাজিক বনায়নের মতো একটি মহৎ প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে তাঁর তিন ভাইসহ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সরকার ও উপকারভোগীদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন।
মামলার বাদী রুহুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এত দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম যে বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কিন্তু তা না করে উল্টো দখলবাজদের সঙ্গে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান আঁতাত করে সরকারি বনজ সম্পদ উজাড় ও পাহাড় কাটায় জড়িতদের বাঁচানোর পথ বেছে নিয়েছেন। এই কারণে আমাদের স্বার্থরক্ষায় মামলা করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না।' মামলার ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি থানায় এজাহারভুক্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে উপকারভোগীরা জানান, কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন কয়েকজন উপকারভোগীর কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নিয়েছেন। অনেকের বাড়িতে সন্ত্রাসী পাঠিয়েও হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট, জঙ্গিসহ নানা অপবাদ রটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপকারভোগীরা এ ঘটনায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। কালের কণ্ঠে গত ৩ সেপ্টেম্বর 'এক লাখ গাছ কেটে বন দখল' শিরোনামে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
আগর বাগান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক রুহুল কাদের গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারভুক্ত করার জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একসময়ের শিবির ক্যাডার নুরুল আবচার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের তিন ভাই জসীম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নাজেম উদ্দিন, মহিউদ্দিন প্রমুখ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজার ৫০ হেক্টর আগর বাগানের এক লাখ গাছ কেটে বনভূমি দখলে নিয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড় কেটে জমি বের করার কারণে সরকারের নেওয়া সামাজিক বনায়নের মতো একটি মহৎ প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে তাঁর তিন ভাইসহ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সরকার ও উপকারভোগীদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন।
মামলার বাদী রুহুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এত দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম যে বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কিন্তু তা না করে উল্টো দখলবাজদের সঙ্গে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান আঁতাত করে সরকারি বনজ সম্পদ উজাড় ও পাহাড় কাটায় জড়িতদের বাঁচানোর পথ বেছে নিয়েছেন। এই কারণে আমাদের স্বার্থরক্ষায় মামলা করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না।' মামলার ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি থানায় এজাহারভুক্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে উপকারভোগীরা জানান, কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন কয়েকজন উপকারভোগীর কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নিয়েছেন। অনেকের বাড়িতে সন্ত্রাসী পাঠিয়েও হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট, জঙ্গিসহ নানা অপবাদ রটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপকারভোগীরা এ ঘটনায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। কালের কণ্ঠে গত ৩ সেপ্টেম্বর 'এক লাখ গাছ কেটে বন দখল' শিরোনামে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
Blogger Comment
Facebook Comment