পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারি কলেজ। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানামুখি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম।
এর মধ্যে শিক্ষক সংকট অন্যতম। আর শিক্ষক সংকটের মূল কারণ হিসেবে শিক্ষকদের আবাসন সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণী থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যন্ত অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু শিক্ষক সংকটের কারণে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ।
একই সঙ্গে ক্লাস রুম সংকট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট, অরক্ষিত কলেজ ক্যাম্পাস নিয়েও বিব্রত কলেজ প্রশাসন। কলেজটিতে রয়েছে রাজনৈতিক উপদলীয় কোন্দলের কালো ছায়া। ফলে, সংকটকবলিত জেলার শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও সচেতন মহল চিন্তিত রয়েছেন।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছলিমুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, একাদশ শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারিভাবে মঞ্জুরি করা ৬৬টি পদের বিপরীতে কলেজে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪৭ জন শিক্ষক। এর মধ্যে প্রশাসনিক পদ রয়েছে ২টি।
তিনি আরও জানান, সহযোগী অধ্যাপকের ১৪ পদের ২টি, সহকারী অধ্যাপকের ১৪টি পদের ২টি, প্রভাষকের ৩০টি পদের ৯টিই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। একই সঙ্গে লাইব্রেরিয়ান ১টি, প্রদর্শকের ৪টি এবং শরীর চর্চ্চার ১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও তাও শূন্য রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কলেজের সব শিক্ষার্থীর জন্য ইংরজি বাধ্যতামূলক। অথচ ইংরেজি বিভাগের ৪টি পদের ২টি শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণ হিসেবে শিক্ষকের আবাসন সমস্যাকে দায়ী করেন তিনি।
তিনি জানান, শিক্ষকদের আবাসনের সংকট দূর হলে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত থাকতে আগ্রহী হবেন।
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কলেজ ক্যাম্পাসটি পুরোটাই অরক্ষিত রয়েছে। ক্যাম্পাসের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ জরুরি। একই সঙ্গে ক্লাস রুমের সংকটও তীব্র বলে জানান তিনি।
উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছলিমুর রহমান শিক্ষার্থীদের এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় কলেজের অনেক জায়গা বেদখল হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কলেজের পেছনে অনুপ্রেবশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের বসতি গড়ে উঠেছে। এতে স্বাভাবিকভাবে কলেজ ক্যাম্পাসটি অরক্ষিত বলা যায়।
তিনি আরও জানান, কলেজটি আনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত উন্নীত হলেও নতুন কোনো ভবন তৈরি হয়নি। ফলে ক্লাস রুমের সংকটটি শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছে।
রাজনৈতিক উপদলীয় কোন্দল এ সংকটকে আরও তীব্র করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজটি দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কক্সবাজার সরকারি কলেজটি ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯৯৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর কলেজটির সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ১ বছরের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিত্ব করেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ে সরকার দলীয় ছাত্রদলের মিছিলে শিবির ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর থেকে কথিত ছাত্র প্রতিনিধি বলে শিবির ক্যাডাররাই এই পর্যন্ত কলেজটি দখল করে রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকে এক সাধারণ শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, ছাত্র সংসদ না থাকলেও প্রতিবছর ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্র সংসদ বাবদ ফি নেওয়া হয়। এছাড়া প্রকাশনা ফির নামে নেওয়া হয় ৩০ থেকে ৭০ টাকা করে। ছাত্র সংসদ খাতে আদায় করা পুরো টাকা ছাত্র প্রতিনিধি নামধারী শিবির নেতারা নিয়ে যান। এছাড়া প্রকাশনা খাতের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তাদের। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ প্রকাশনার নামে প্রকাশিত ‘বেলাভূমি’ শিবিরের প্রকাশনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের দাঁড় করিয়ে রেখে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিবির নেতাদের যখন-তখন বক্তব্য দেওয়া এ কলেজে নিত্য ঘটনা।
কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান রুবেল বাংলানিউজকে জানান, কলেজে প্রতিপক্ষের ছাত্রের ওপর শিবিরের হামলা একটি দৈনন্দিন ঘটনা। গত ২০ বছরে শিবির ক্যাডারের হামলায় অন্তত ৩ শতাধিক ছাত্রনেতা আহত হয়েছে। এমন কী সাধারণ শিক্ষার্থী শিবিরের কথার বাইরে গেলে হামলা করা হয়।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকট, আবাসন সংকটসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই কলেজের শিক্ষক, ছাত্র এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা।
একই সঙ্গে ক্লাস রুম সংকট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট, অরক্ষিত কলেজ ক্যাম্পাস নিয়েও বিব্রত কলেজ প্রশাসন। কলেজটিতে রয়েছে রাজনৈতিক উপদলীয় কোন্দলের কালো ছায়া। ফলে, সংকটকবলিত জেলার শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও সচেতন মহল চিন্তিত রয়েছেন।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছলিমুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, একাদশ শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারিভাবে মঞ্জুরি করা ৬৬টি পদের বিপরীতে কলেজে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪৭ জন শিক্ষক। এর মধ্যে প্রশাসনিক পদ রয়েছে ২টি।
তিনি আরও জানান, সহযোগী অধ্যাপকের ১৪ পদের ২টি, সহকারী অধ্যাপকের ১৪টি পদের ২টি, প্রভাষকের ৩০টি পদের ৯টিই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। একই সঙ্গে লাইব্রেরিয়ান ১টি, প্রদর্শকের ৪টি এবং শরীর চর্চ্চার ১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও তাও শূন্য রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কলেজের সব শিক্ষার্থীর জন্য ইংরজি বাধ্যতামূলক। অথচ ইংরেজি বিভাগের ৪টি পদের ২টি শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণ হিসেবে শিক্ষকের আবাসন সমস্যাকে দায়ী করেন তিনি।
তিনি জানান, শিক্ষকদের আবাসনের সংকট দূর হলে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত থাকতে আগ্রহী হবেন।
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কলেজ ক্যাম্পাসটি পুরোটাই অরক্ষিত রয়েছে। ক্যাম্পাসের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ জরুরি। একই সঙ্গে ক্লাস রুমের সংকটও তীব্র বলে জানান তিনি।
উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছলিমুর রহমান শিক্ষার্থীদের এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় কলেজের অনেক জায়গা বেদখল হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কলেজের পেছনে অনুপ্রেবশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের বসতি গড়ে উঠেছে। এতে স্বাভাবিকভাবে কলেজ ক্যাম্পাসটি অরক্ষিত বলা যায়।
তিনি আরও জানান, কলেজটি আনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত উন্নীত হলেও নতুন কোনো ভবন তৈরি হয়নি। ফলে ক্লাস রুমের সংকটটি শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছে।
রাজনৈতিক উপদলীয় কোন্দল এ সংকটকে আরও তীব্র করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজটি দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কক্সবাজার সরকারি কলেজটি ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯৯৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর কলেজটির সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ১ বছরের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিত্ব করেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ে সরকার দলীয় ছাত্রদলের মিছিলে শিবির ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর থেকে কথিত ছাত্র প্রতিনিধি বলে শিবির ক্যাডাররাই এই পর্যন্ত কলেজটি দখল করে রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকে এক সাধারণ শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, ছাত্র সংসদ না থাকলেও প্রতিবছর ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্র সংসদ বাবদ ফি নেওয়া হয়। এছাড়া প্রকাশনা ফির নামে নেওয়া হয় ৩০ থেকে ৭০ টাকা করে। ছাত্র সংসদ খাতে আদায় করা পুরো টাকা ছাত্র প্রতিনিধি নামধারী শিবির নেতারা নিয়ে যান। এছাড়া প্রকাশনা খাতের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তাদের। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ প্রকাশনার নামে প্রকাশিত ‘বেলাভূমি’ শিবিরের প্রকাশনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের দাঁড় করিয়ে রেখে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিবির নেতাদের যখন-তখন বক্তব্য দেওয়া এ কলেজে নিত্য ঘটনা।
কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান রুবেল বাংলানিউজকে জানান, কলেজে প্রতিপক্ষের ছাত্রের ওপর শিবিরের হামলা একটি দৈনন্দিন ঘটনা। গত ২০ বছরে শিবির ক্যাডারের হামলায় অন্তত ৩ শতাধিক ছাত্রনেতা আহত হয়েছে। এমন কী সাধারণ শিক্ষার্থী শিবিরের কথার বাইরে গেলে হামলা করা হয়।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকট, আবাসন সংকটসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই কলেজের শিক্ষক, ছাত্র এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা।
Blogger Comment
Facebook Comment