২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ ৫ দিন পরও ২৯ সেপ্টেম্বরের ভয়াল তাণ্ডব ভুলতে পারছেন না কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন।
তারা এখনও অজানা আশঙ্কায় আতঙ্কিত। তাদের অনেকের প্রশ্ন, স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবেন তো তারা? অথচ রামুতে এখনও সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা টহল জোরদার রেখেছেন। বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির, পল্লীতে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। কিন্ত তারপরও তাদের মন থেকে আতঙ্ক কাটেনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় রামুর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, একদল সেনাবাহিনী ওখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানকার আশেপাশে সেনাবাহিনীর ২টি গাড়িকে টহল দেখা গেছে। ওই বিহারে দীর্ঘ ১০০ ফুট লম্বা বৌদ্ধ মুর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তাকে ঘিরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
এদের মধ্যে থাকা রতন বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর রাতের হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী। এখনও ফের হামলার হুমকি দিচ্ছেন তারা। একারণে আমরা আতঙ্কিত।”
মধুবালা বড়ুয়া নামে এক বৃদ্ধা বাংলানিউজকে বলেন, “এ ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে একে-অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা শনাক্ত হবে না। আর এদিকে ওই অপরাধীরা বীরের মতো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক টহলের পরও নিরাপত্তা নিয়ে তারা কেন শঙ্কিত, এ প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর রাতেও পুলিশ ছিল। যখন দুর্বৃত্তরা বিহারে, বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তখন পুলিশ ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো হুইসেল বাজাচ্ছিল।’ কিন্তু ওই বাঁশিতে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”
এদিকে, শুক্রবার সকাল ১১টার আগেই সীমা বৌদ্ধ বিহারের ভেতরে দেখা মেলে বিএনপির তদন্ত দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
তারা বিহার পরিদর্শন, বিহারের ভিক্ষুদের সঙ্গে আলাপ করে আগুনে পুড়ে যাওয়া পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির নারীদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের কাছে জানতে চান, “এখন জরুরিভিত্তিতে কী করতে হবে?”
এ প্রশ্নের উত্তরে এক নারী বলেন, “আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চাই। আমাদের নিরাপত্তাটা জরুরি।”
এখানে উপস্থিত বাবুল বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, “পরিচিত লোকজনের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকজনের উপস্থিতিতে এ তাণ্ডবলীলা চলেছে। পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। এখন পুলিশের ওপর আমাদের আর ভরসা নেই।”
সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো হতাশকণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, “বিহারটি ছিল প্রত্মতাত্তিক নিদর্শন সংগ্রহশালা। তা লালন করে এতদিন বেঁচেছিলাম। তার সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যেসব হারিয়েছি, তা কি আর কোনোদিন ফিরে পাওয়া যাবে?।”
তিনি অনুযোগের স্বরে বলেন, “বাইরের দেশ থেকে পাওয়া মহামতি গৌতম বুদ্ধের মূল্যবান ধাতু, বিরল বুদ্ধমূর্তি, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেটসহ আমার ভিক্ষুজীবনের সমস্ত অর্জন, সংগ্রহ ধ্বংস করে আমাদের নিঃস্ব করে দেওয়া হয়েছে। এ নিঃস্ববোধের মধ্যে নিজেদের নিরাপত্তা জরুরি হয়ে উঠেছে।”
লাল চিং বৌদ্ধ বিহারের সামনে দাঁড়ানো প্রদীপ বড়ুয়া (৫৫) ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, “৭১ সালে রামুতে পাকি হানাদার বাহিনী মাত্র ৭/৮টি বসতবাড়ি পুড়িয়েছিল। কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এটা মুক্তিযুদ্ধকেও হার মানিয়েছে।”
বিহারের আশেপাশে জড়ো হওয়া লোকজন তাদের অভিমতে জানালেন, অপরাধীদের সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারলে হুমকি দেওয়া বন্ধ হবে। নইলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে আসা কষ্টকরই হবে।
এদের মধ্যে থাকা রতন বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর রাতের হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী। এখনও ফের হামলার হুমকি দিচ্ছেন তারা। একারণে আমরা আতঙ্কিত।”
মধুবালা বড়ুয়া নামে এক বৃদ্ধা বাংলানিউজকে বলেন, “এ ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে একে-অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা শনাক্ত হবে না। আর এদিকে ওই অপরাধীরা বীরের মতো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক টহলের পরও নিরাপত্তা নিয়ে তারা কেন শঙ্কিত, এ প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর রাতেও পুলিশ ছিল। যখন দুর্বৃত্তরা বিহারে, বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তখন পুলিশ ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো হুইসেল বাজাচ্ছিল।’ কিন্তু ওই বাঁশিতে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”
এদিকে, শুক্রবার সকাল ১১টার আগেই সীমা বৌদ্ধ বিহারের ভেতরে দেখা মেলে বিএনপির তদন্ত দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
তারা বিহার পরিদর্শন, বিহারের ভিক্ষুদের সঙ্গে আলাপ করে আগুনে পুড়ে যাওয়া পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির নারীদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের কাছে জানতে চান, “এখন জরুরিভিত্তিতে কী করতে হবে?”
এ প্রশ্নের উত্তরে এক নারী বলেন, “আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চাই। আমাদের নিরাপত্তাটা জরুরি।”
এখানে উপস্থিত বাবুল বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, “পরিচিত লোকজনের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকজনের উপস্থিতিতে এ তাণ্ডবলীলা চলেছে। পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। এখন পুলিশের ওপর আমাদের আর ভরসা নেই।”
সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো হতাশকণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, “বিহারটি ছিল প্রত্মতাত্তিক নিদর্শন সংগ্রহশালা। তা লালন করে এতদিন বেঁচেছিলাম। তার সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যেসব হারিয়েছি, তা কি আর কোনোদিন ফিরে পাওয়া যাবে?।”
তিনি অনুযোগের স্বরে বলেন, “বাইরের দেশ থেকে পাওয়া মহামতি গৌতম বুদ্ধের মূল্যবান ধাতু, বিরল বুদ্ধমূর্তি, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেটসহ আমার ভিক্ষুজীবনের সমস্ত অর্জন, সংগ্রহ ধ্বংস করে আমাদের নিঃস্ব করে দেওয়া হয়েছে। এ নিঃস্ববোধের মধ্যে নিজেদের নিরাপত্তা জরুরি হয়ে উঠেছে।”
লাল চিং বৌদ্ধ বিহারের সামনে দাঁড়ানো প্রদীপ বড়ুয়া (৫৫) ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, “৭১ সালে রামুতে পাকি হানাদার বাহিনী মাত্র ৭/৮টি বসতবাড়ি পুড়িয়েছিল। কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এটা মুক্তিযুদ্ধকেও হার মানিয়েছে।”
বিহারের আশেপাশে জড়ো হওয়া লোকজন তাদের অভিমতে জানালেন, অপরাধীদের সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারলে হুমকি দেওয়া বন্ধ হবে। নইলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে আসা কষ্টকরই হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment