পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় রামুর ঘটনা ভয়াবহ রূপ পায়ঃ বিএনপির তদন্তদল

কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপির তদন্তদল। একই সঙ্গে এ ঘটনা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ভয়াবহ রূপ নেয় বলেও দাবি তুলেছে তারা।
আহবায়ক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে বিএনপি’র ৮ সদস্যের তদন্ত দলটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় রামুতে পৌঁছায়।

দলটির অপর সদস্যরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকোমল বড়–য়া।
BNP-Investigation
দলটি রামুতে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত সীমা বৌদ্ধ বিহার, লাল চিং, সাদা চিং, বড় ক্যাং, শ্রী কুল মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার, বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত বসত বাড়ি পরিদর্শন করে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল সরওয়ার কাজলসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরর সঙ্গে আলাপ করেন।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতারা ছিলেন।

পরিদদর্শন শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বক্তব্য, ঘটনার আলামত দেখে এটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক।’

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন তাদের জানিয়েছেন, পুলিশ একটু উদ্যোগী হলে এ ঘটনা ভয়াবহ হতো না। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অংশ নেওয়া লোকজনের অনেককেই তারা চিনেছেন। ওই সব ব্যক্তিকে আটক করা হলে নেপথ্যের ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাবে।
BNP-Investigation
তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে রামু মাত্র আধাঘণ্টার পথ। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় এ সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ১টা/দেড়টার সময়েও অনেক বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তখন পর্যন্ত এ জেলা শহর থেকে প্রশাসন কিংবা পুলিশের কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেনি বলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ট্যাগ করে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে কিছু লোক। এতে রামু উপজেলার ৭ টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০ টি বসত ঘর, দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরও হয়েছে। এর পরদিন উখিয়া ও টেকনাফেও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment