বৌদ্ধ বিহার, মন্দির ও বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের পরদিন সোমবার কক্সবাজারের রামু, টেকনাফ, উখিয়া এবং চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে উখিয়ায় রোববার রাত থেকে ১৪৪ ধারা আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার শহরে কিছু লোক মিছিল নিয়ে বৌদ্ধপল্লির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে তা পারেনি।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোট ১১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ থেকে ২৩ জন, উখিয়া থেকে ৩১ জন, কক্সবাজার সদর থেকে ১৮ জন এবং রামু থেকে ১৩ জন দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতেই দুষ্কৃতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার সকাল থেকে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে উখিয়া উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উখিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির বিশেষ টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। রোববার মন্দিরে আগুন, ভাংচুর এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উখিয়ায় ৩১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উখিয়ায় রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পরিস্থিত শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ জানিয়েছেন, টেকনাফে হোয়াইক্যং-এ বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করেছে। রোববার টেকনাফে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জুয়াড়িখোলা এলাকায় চ্যাকুমনি বৌদ্ধবিহারের দিকে একদল লোক মিছিল নিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। উপজেলায় এদিন রাতেই বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে দগ্ধ হয়ে বুচি শর্মা (৭০) নামের এক বৃদ্ধা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তিনি জীবিত আছেন বলে জানা গেছে।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ ৩০-৪০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মিছিলকারীরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পাঁচটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে দুজন দগ্ধ হন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মিজবাহ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হবে।
এদিকে রামু উপজেলায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবার ভোর পর্যন্ত আটজনকে এবং সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উত্তেজনাকর লিফলেট বিতরণকালে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জেলায় ৮৫ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, পুরো জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিনই পটিয়ায় দুটি বৌদ্ধবিহার ও একটি মন্দিরে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কোলগাঁও ও লাখেরা গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালায় তারা।
প্রসঙ্গত, ফেইসবুকে সংযুক্ত (ট্যাগ) করে একটি ছবি প্রকাশ (আপলোড) করার ঘটনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ সংঘাত অব্যাহত ছিল রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত।
রোববার রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর চালায় কিছু দুষ্কতকারী। এতে রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধবিহার, প্রায় ৩০টি বসত ঘর, দোকান পুড়িয়ে দেয়। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরও হয়। ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব অবস্থান করছে। রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই মন্ত্রী কক্সবাজার ত্যাগের পর রোববার সন্ধ্যায় উখিয়ায় ৫টি বৌদ্ধ মন্দির, টেকনাফে ৫টি বসতবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এসময় আরো কয়েকটি মন্দিরে ভাংচুর চালায়।
সোমবার সকাল থেকে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে উখিয়া উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উখিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির বিশেষ টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। রোববার মন্দিরে আগুন, ভাংচুর এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উখিয়ায় ৩১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উখিয়ায় রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পরিস্থিত শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ জানিয়েছেন, টেকনাফে হোয়াইক্যং-এ বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করেছে। রোববার টেকনাফে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জুয়াড়িখোলা এলাকায় চ্যাকুমনি বৌদ্ধবিহারের দিকে একদল লোক মিছিল নিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। উপজেলায় এদিন রাতেই বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে দগ্ধ হয়ে বুচি শর্মা (৭০) নামের এক বৃদ্ধা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তিনি জীবিত আছেন বলে জানা গেছে।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ ৩০-৪০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মিছিলকারীরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পাঁচটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে দুজন দগ্ধ হন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মিজবাহ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হবে।
এদিকে রামু উপজেলায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবার ভোর পর্যন্ত আটজনকে এবং সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উত্তেজনাকর লিফলেট বিতরণকালে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জেলায় ৮৫ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, পুরো জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিনই পটিয়ায় দুটি বৌদ্ধবিহার ও একটি মন্দিরে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কোলগাঁও ও লাখেরা গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালায় তারা।
প্রসঙ্গত, ফেইসবুকে সংযুক্ত (ট্যাগ) করে একটি ছবি প্রকাশ (আপলোড) করার ঘটনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ সংঘাত অব্যাহত ছিল রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত।
রোববার রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর চালায় কিছু দুষ্কতকারী। এতে রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধবিহার, প্রায় ৩০টি বসত ঘর, দোকান পুড়িয়ে দেয়। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরও হয়। ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব অবস্থান করছে। রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই মন্ত্রী কক্সবাজার ত্যাগের পর রোববার সন্ধ্যায় উখিয়ায় ৫টি বৌদ্ধ মন্দির, টেকনাফে ৫টি বসতবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এসময় আরো কয়েকটি মন্দিরে ভাংচুর চালায়।
Blogger Comment
Facebook Comment