দেশের সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির ইতিহাসে গত শনিবার কক্সবাজারের রামুতে সংঘটিত ভয়াল ঘটনাটির নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই লেনদেনের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি এবং সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। গত সোমবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত একজন সরকারি কর্মকর্তা গত রাতে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন এ তথ্য।
নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, কোটি টাকার বিনিময়ে যথেষ্ট সময় নিয়ে আটঘাট বেঁধে পরিস্থিতি তৈরির ছক এঁটে হামলা চালানোর বিষয়টি আলোচ্য বৈঠকে খুব গুরুত্ব পায়। এর পেছনে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ, রোহিঙ্গাসংশ্লিষ্টতা, জঙ্গিদের নাশকতা এবং এনজিওসংশ্লিষ্টতাও আলোচনায় উঠে আসে। কক্সবাজারের অনেক লোকের মুখেও এমন কথা শোনা যাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তার ক্লু খুঁজে পেতে অনেক কিছুই আলোচনার মধ্যে রাখতে হয়। ঘটনার কারণ সন্ধান করতে গিয়ে আলোচনায় স্থান পেয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কথাটিও। ওই রাতের ঘটনায় মানুষ কেবল ধর্মীয় উন্মাদনায় বশীভূত হয়ে এত বড় 'ম্যাসাকার' করে দেবে তা বিশ্বাস করতে রাজি হননি বৈঠকের বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একই পাড়া বা এলাকার মানুষগুলো যেখানে সকাল-সন্ধ্যা সুখে-দুঃখে একাকার থাকে, তারাই কি না মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের ঘরবাড়ি, উপাসনালয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেবে- তা কল্পনা মাত্র বলে মনে করা হচ্ছে। তদুপরি হামলায় জড়িতরা অপরিচিত মুখ হওয়ার কারণেই সন্দেহ করা হচ্ছে, ঘটনাটি পরিকল্পিত। আর এ রকম পরিকল্পিত ঘটনার নেপথ্যে টাকার লেনদেন না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক।
সেই রাতের ঘটনায় যোগ দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, রামুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকা গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, ঈদগড়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ঈদগাঁও, জোয়ারিয়ানালা, খুরুশকুল, কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের আরো বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িতে করে লোকজন আনা হয়। তিনি বলেন, এমন অন্ধকার রাতে শুধু তাৎক্ষণিক উন্মাদনারবশে কেউ কারো ঘরবাড়ি এবং উপাসনালয়ে হামলা চালাতে যেতে পারে কি না সে প্রশ্ন ওঠে আলোচনায়। বৈঠকে জানানো হয়, কক্সবাজার শহরের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রহমানিয়া মাদ্রাসা এলাকার প্রচুর রোহিঙ্গাকে সেই রাতে ভাড়ায় রামুতে নেওয়ার কথা কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। তদুপরি দাহ্য পদার্থ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাত ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের চারটি বৌদ্ধপল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই। যদি শুধু ধর্মীয় উন্মাদনায় একাজ করা হতো, তাহলে হতাহতের ঘটনা ঘটত বলে মতামত দেন অনেকে। কর্মকর্তাটি জানান, এ বিষয়গুলো সামনে রেখেই তদন্ত চলছে।
নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, কোটি টাকার বিনিময়ে যথেষ্ট সময় নিয়ে আটঘাট বেঁধে পরিস্থিতি তৈরির ছক এঁটে হামলা চালানোর বিষয়টি আলোচ্য বৈঠকে খুব গুরুত্ব পায়। এর পেছনে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ, রোহিঙ্গাসংশ্লিষ্টতা, জঙ্গিদের নাশকতা এবং এনজিওসংশ্লিষ্টতাও আলোচনায় উঠে আসে। কক্সবাজারের অনেক লোকের মুখেও এমন কথা শোনা যাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তার ক্লু খুঁজে পেতে অনেক কিছুই আলোচনার মধ্যে রাখতে হয়। ঘটনার কারণ সন্ধান করতে গিয়ে আলোচনায় স্থান পেয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কথাটিও। ওই রাতের ঘটনায় মানুষ কেবল ধর্মীয় উন্মাদনায় বশীভূত হয়ে এত বড় 'ম্যাসাকার' করে দেবে তা বিশ্বাস করতে রাজি হননি বৈঠকের বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একই পাড়া বা এলাকার মানুষগুলো যেখানে সকাল-সন্ধ্যা সুখে-দুঃখে একাকার থাকে, তারাই কি না মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের ঘরবাড়ি, উপাসনালয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেবে- তা কল্পনা মাত্র বলে মনে করা হচ্ছে। তদুপরি হামলায় জড়িতরা অপরিচিত মুখ হওয়ার কারণেই সন্দেহ করা হচ্ছে, ঘটনাটি পরিকল্পিত। আর এ রকম পরিকল্পিত ঘটনার নেপথ্যে টাকার লেনদেন না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক।
সেই রাতের ঘটনায় যোগ দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, রামুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকা গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, ঈদগড়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ঈদগাঁও, জোয়ারিয়ানালা, খুরুশকুল, কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের আরো বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িতে করে লোকজন আনা হয়। তিনি বলেন, এমন অন্ধকার রাতে শুধু তাৎক্ষণিক উন্মাদনারবশে কেউ কারো ঘরবাড়ি এবং উপাসনালয়ে হামলা চালাতে যেতে পারে কি না সে প্রশ্ন ওঠে আলোচনায়। বৈঠকে জানানো হয়, কক্সবাজার শহরের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রহমানিয়া মাদ্রাসা এলাকার প্রচুর রোহিঙ্গাকে সেই রাতে ভাড়ায় রামুতে নেওয়ার কথা কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। তদুপরি দাহ্য পদার্থ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাত ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের চারটি বৌদ্ধপল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই। যদি শুধু ধর্মীয় উন্মাদনায় একাজ করা হতো, তাহলে হতাহতের ঘটনা ঘটত বলে মতামত দেন অনেকে। কর্মকর্তাটি জানান, এ বিষয়গুলো সামনে রেখেই তদন্ত চলছে।
Blogger Comment
Facebook Comment