রামু উপজেলা সদরের বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘরে সহিংসতা রোধে সরকারের চরম ব্যর্থতা রয়েছে। রামুর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলাকে তাদের প্রতি চরম অবমূল্যায়ন বলেই মনে করছেন— এমন দাবি করেছেন বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি। তিনি গতকাল সকালে রামুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। মওদুদ আহমদ বলেন, কক্সবাজার শহর থেকে রামুর দূরত্ব মাত্র আধা ঘণ্টার পথ। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় এ সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ১টা-দেড়টার সময়ও অনেক বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। তখন পর্যন্ত জেলা শহর থেকে প্রশাসন কিংবা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেননি বলেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ে প্রশাসন কী করছিল, তা নিয়ে মানুষের মাঝে স্পষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।’

এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ, গৌতম চক্রবর্তী ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী (অব.) ও কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য লুত্ফুর রহমান কাজলও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
Blogger Comment
Facebook Comment