কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীদের 'উসকানিমূলক' মিছিল নিয়ে যখন দেশব্যাপী তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখনই হামলায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার একজন জামায়াত নেতার সাফাই গেয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। সেই প্রত্যয়নপত্র গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা আলহাজ আবুল কাশেম সিকদারের পক্ষে বৃহস্পতিবার আদালতেও উপস্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা লিখেছেন, 'এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে, আলহাজ আবুল কাশেম সিকদার, পিতা-মৃত আবদুল গনি সিকদার, মাতা-বদরজ জান, সাং-বোমাংখিল, ওয়ার্ড নং-০৮, গর্জনিয়া, রামু, কক্সবাজার আমাদের পরিচিত। আমাদের জানামতে তিনি একজন সচ্চরিত্রের অধিকারী, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সমাজসেবক গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব। বিগত ৩০-০৯-২০১২ ইংরেজি তারিখে রামু ফতেখারকুল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তিনি কোনোভাবেই জড়িত নহেন বা তাঁর উক্ত ঘটনার সাথে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই দিন এবং রাতে তিনি গর্জনিয়া নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আমাদের জানামতে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কার্যকলাপে লিপ্ত নহেন।'
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আইউব সিকদার গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্যাডে জামায়াত নেতার জন্য এই সনদ প্রদান করেছেন। জামায়াত নেতা আবুল কাশেম সিকদার রামুর সহিংস ঘটনা নিয়ে রামু থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মফিজ উদ্দীন কর্তৃক বেআইনি জনতা সংগঠনপূর্বক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ব্যাপারে দায়ের করা মামলার (নং-৪১) আসামি। তাঁকে ঘটনার এক দিন পর ১ অক্টোবর ভোররাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়। আদালত তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।
গত শনিবার রাতে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির ফেসবুকে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো একটি ছবিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলের পরপরই সেখানকার বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনা ঘটে।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইউব সিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে গতকাল শুক্রবার কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'জামায়াত নেতা আবুল কাশেম সিকদার আমার জ্যাঠাতো ভাই। তাই ভাইকে রক্ষার জন্য এ রকম সনদ দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ব্যাপারে জানাজানি হলে চারদিকে সমালোচনার মুখে আমাদের দলের ওপর থেকে বলার পর স্থানীয় পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে এ রকম সনদ দিইনি বলেছি।'
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম সিকদার গর্জনিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলের সিনিয়র নেতা।' বৌদ্ধপল্লীর ঘটনায় তিনি জড়িত নন- এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, 'কী করতাম! একই এলাকার মানুষ, তাই দিছি।'
গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা আবুল কাশেম সিকদারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ নুরুল ইসলাম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার মক্কেলের রিমান্ডের শুনানিকালে আওয়ামী লীগ ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্রও বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত শুনানি শেষে আমার মক্কেলকে তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন।' আইনজীবী জানান, গ্রেপ্তার আবুল কাশেম সিকদার তৃণমূলের একজন প্রবীণ জামায়াত নেতা।
এ ব্যাপারে গতকাল রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরোয়ার কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ রকম একটি জঘন্য ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াত নেতার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'আমি ব্যাপারটি দেখব।'
গত শনিবার রাতে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির ফেসবুকে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো একটি ছবিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলের পরপরই সেখানকার বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনা ঘটে।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইউব সিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে গতকাল শুক্রবার কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'জামায়াত নেতা আবুল কাশেম সিকদার আমার জ্যাঠাতো ভাই। তাই ভাইকে রক্ষার জন্য এ রকম সনদ দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ব্যাপারে জানাজানি হলে চারদিকে সমালোচনার মুখে আমাদের দলের ওপর থেকে বলার পর স্থানীয় পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে এ রকম সনদ দিইনি বলেছি।'
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম সিকদার গর্জনিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলের সিনিয়র নেতা।' বৌদ্ধপল্লীর ঘটনায় তিনি জড়িত নন- এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, 'কী করতাম! একই এলাকার মানুষ, তাই দিছি।'
গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা আবুল কাশেম সিকদারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ নুরুল ইসলাম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার মক্কেলের রিমান্ডের শুনানিকালে আওয়ামী লীগ ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্রও বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত শুনানি শেষে আমার মক্কেলকে তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন।' আইনজীবী জানান, গ্রেপ্তার আবুল কাশেম সিকদার তৃণমূলের একজন প্রবীণ জামায়াত নেতা।
এ ব্যাপারে গতকাল রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরোয়ার কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ রকম একটি জঘন্য ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াত নেতার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'আমি ব্যাপারটি দেখব।'
Blogger Comment
Facebook Comment