কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন পরিত্যক্ত জমিতে প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ করে কোটি টাকার মার্কেট বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এ জমি উদ্ধারে চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের (এমইএস) ইস্টার্ন সার্কেল কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা মামলার পর উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করবে এমন হুংকার ছাড়লেও গত ৬ মাসে তারা জমিটি উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, উল্টো প্রতিরক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা মোটা অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রকে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের সুযোগ দিয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, পৌরশহরের জনতা মার্কেট সাব রেজিস্ট্রার অফিস মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানির বাড়ির পুকুর লাগোয়া প্রতিরক্ষা বিভাগের ১০ শতক জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রকাশ্যে স্থাপনা (মার্কেট) নির্মাণ শুরু করে প্রায় ৬ মাস আগে। চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানায়, ওই জমি লিজ পেতে আবেদন করেন স্থানীয় শামসুল আলম নামের একব্যক্তি। কিন্তু এমইএস কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দেন। এমনকি ওই জমি কাউকে লিজ দেননি। অভিযোগ উঠেছে, শামসুল আলম গং এরপরও তার ভাই এক সহকারী সচিবের দাপট দেখিয়ে প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা (মার্কেট) নির্মাণ করেন। বর্তমানে মার্কেটের একেকটি দোকান ৫ থেকে ১০ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়ে তারা কোটি টাকার বাণিজ্য শুরু করেছে।
এমইএস সূত্র জানায়, তাদের জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় তারা শামশুল আলম ও তার ভাই কাউছার আলম, মোরশেদ আলম, ফাইচার আলম ও এরশাদ আলমকে আসামি করে একটি উচ্ছেদ মামলা (নং ৬২৮/১১) করেছেন। মামলার আদেশে অভিযুক্তদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও তারা এসবের তোয়াক্কা না করে মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রাখে।
এমইএস সূত্র জানায়, তাদের জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় তারা শামশুল আলম ও তার ভাই কাউছার আলম, মোরশেদ আলম, ফাইচার আলম ও এরশাদ আলমকে আসামি করে একটি উচ্ছেদ মামলা (নং ৬২৮/১১) করেছেন। মামলার আদেশে অভিযুক্তদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও তারা এসবের তোয়াক্কা না করে মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রাখে।

Blogger Comment
Facebook Comment