জেলার বিভিন্ন স্থানে আশংকাজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া। গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক শেভরন, ডক্টরস চেম্বার, ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতাল,
সি-সাইড হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, কক্সবাজার ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, ডিজিটাল হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঘুরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগ শিশু।
৬ নম্বর সিটে ভর্তি শিশুর অভিভাবক ঈদগাঁও এলাকার শাহেনা আক্তার জানান, রবিবার সকালে হাসপাতালের ১০ নম্বর সিটে দুই জন শিশু মারা গেছে। পিএমখালী জুমছড়ি এলাকা থেকে আসা হাসপাতালের ৫ নম্বর সিটে ভর্তি শিশুর অভিভাবক বুলবুল আক্তার বলেন, 'আমার শিশু পুত্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ৯ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমি এখানে গত ৯ দিনে ১১ শিশু রোগীকে মারা যেতে দেখেছি।'
হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও রোগীর ভিড় রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এতো শিশু রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করছে না। এছাড়া শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন অভিভাবকরা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অরূপ দত্ত বাপ্পী জানান, গরমের কারণে ভাইরাস আকারে শিশুদের মাঝে নিউমোনিয়া এবং সব বয়সী মানুষের মাঝে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার পাশাপাশি দূষিত পানি ও বাসি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
Blogger Comment
Facebook Comment