কক্সবাজারে সংঘর্ষে ছাত্র-পুলিশসহ আহত ৫০, সড়ক অবরোধ

কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সড়ক অবরোধ করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। তারা অন্তত ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংক রোড এলাকায় শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করে। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। দুপুর ১২টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।
সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার কোর্সের নাম ডিপ্লোমা ইন টেকনিশিয়ান করে পদ মর্যাদা হ্রাসের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয়।

তারা মূর্হুতের মধ্যে সড়কের মাঝখানে টায়ারে আগুন দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা দুটি ট্রাক ও ৫টি চেয়ার কোচ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় কক্সবাজার সরকারি কলেজের পাশ থেকে একদল শিবির কর্মী পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এতে উভয়পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ
বাঁধে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানিয়েছে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার কোর্সের নাম ডিপ্লোমা ইন টেকনিশিয়ান করে পদ মর্যাদা কমানো হয়েছে। এতে শিক্ষার মান দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি নেমে গেছে।

এর প্রতিবাদে তারা লিংক রোড এলাকায় মানববন্ধন করলে পুলিশ-র‌্যাব সদস্যরা তাদের লাঠিচার্জ করে। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে ২ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ  ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেছেন, সকাল ১০ টায় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছাত্ররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আজাদসহ ২০ জন পথচারী আহত হয়েছে। দুপুর ১২ টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে।

কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেছেন, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার কোর্সের নাম ডিপ্লোমা ইন টেকনিশিয়ান করে পদ মর্যাদা কমানোর বিষয়ে কোন নির্দেশনা তারা পাননি।

বিষয়টি পত্রিকার সূত্রে শিক্ষার্থীরা জেনে এ আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীদের সরকারের নিদের্শনা না পাওয়ার আগে আন্দোলন করতে নিষেধ করা হয়েছিল।
Share on Google Plus

প্রতিবেদনটি পোষ্ট করেছেন: Unknown

a Bengali Online News Magazine by Selected News Article Combination.... একটি বাংলা নিউজ আর্টিকেলের আর্কাইভ তৈরীর চেষ্টায় আমাদের এই প্রচেষ্টা। বাছাইকৃত বাংলা নিউজ আর্টিকেলের সমন্বয়ে একটি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন বা আর্কাইভ তৈরীর জন্য এই নিউজ ব্লগ। এর নিউজ বা আর্টিকেল অনলাইন Sources থেকে সংগ্রহকরে Google Blogger এর Blogspotএ জমা করা একটি সামগ্রিক সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ। এটি অনলাইন Sources এর উপর নির্ভরশীল।
    Blogger Comment
    Facebook Comment