পূর্ণিমার প্রভাবে প্রবল জোয়ারে সোম ও মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে পানি ঢুকে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এতে বসতবাড়ি, বিদ্যালয়, চিংড়ি ঘের, শুঁটকি মহাল ও ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। প্লাবিত এসব গ্রামের রান্নাঘরে আগুন জ্বলেনি। তারা উঁচু স্থানে গিয়ে কোনোরকমে দিনাতিপাত করছে। আবার কেউ ঘরের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন সাবরাং বাজারপাড়ার মোঃ রফিক। টেকনাফের নাফ নদীর বেড়িবাঁধের অংশটি মেরামতের জন্য সরকার চতুর্থ দফায় টাকা বরাদ্দ দিলেও বাঁধ সংস্কারের নামে ঠিকাদার প্রহসন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

পূর্ণিমার জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
পেকুয়া-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের সাগর উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার সকালে পূর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। পাউবোর বেড়িবাঁধ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জোয়ারের পানি ঢুকে শতাধিক বসতঘর এবং কয়েকশ' হেক্টর আউশের ফসলি জমি ও বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। জ্যৈষ্ঠের খরতাপে শুকিয়ে যাওয়া পুকুরগুলোয় সাগরের লবণ পানি ঢুকেছে। বর্তমানে প্লাবিত এলাকার লোকজন সুপেয় পানীয় জলের চরম সংকটে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুতুবদিয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন জানান, পূর্ণিমার জোয়ারে লেমশিখালী পেয়ারাকাটা এলাকায় ৫ চেইন, উত্তর ধুরুং ফয়জনের বাপেরপাড়ায় এক কিলোমিটার, চর ধুরুংয়ে এক কিলোমিটার, তাবলরচরে এক কিলোমিটার, কুমিরারছড়ার জেলেপাড়ায় অর্ধকিলোমিটার ও আজম কলোনি এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ ভাঙা থাকায় কূলে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। চলতি পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কুতুবদিয়া দ্বীপে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর আউশ চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেড়শ' হেক্টরে বীজতলা রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে চাষিরা আউশ চাষাবাদে চরম দুর্ভোগে পড়বেন। প্লাবনের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
Blogger Comment
Facebook Comment