কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ৮ ইউনিয়নের ৫০ হাজার পরিবারকে সরকারিভাবে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। তিন মাস পর্যন্ত এসব পরিবারকে প্রতিমাসে ১০ কেজি করে দুইবার ভিজিএফের চাল দেওয়া হবে।
এছাড়া উপজেলার অন্তত ১৫ ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯ শতাধিক পরিবারকে এনজিও কেয়ার প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করবে। আগামীকাল বুধবার থেকে কেয়ারের এই ত্রাণ তৎপরতা শুরু হচ্ছে।চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এবারের ভয়াবহ বন্যায় চকরিয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে সচিবালয়ে আমি খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সাথে দেখা করেছি। এ সময় মন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর প্রায় ৫০ হাজার পরিবারকে শিগগির বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এনে তিনমাস পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ করা হবে।'
রেজাউল করিম জানান, ভিজিএফ কর্মসূচি ছাড়াও বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব ২০ হাজার বাড়ি মেরামতের জন্য ১০ হাজার টাকা করে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টির ব্যাপারেও মন্ত্রীর কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গেছে। তাছাড়া কাবিখার মাধ্যমে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
চকরিয়ার এনজিও সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক ও এএসসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নোমান বলেন, 'বিভিন্ন দাতাসংস্থা ও এনজিওর কাছে চকরিয়ার বন্যা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হলে সহযোগিতার ব্যাপারে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গেছে।' তিনি জানান, ইউনিসেফ ও কেয়ার উপজেলার বন্যাদুর্গত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবারকে এককালীন বা পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জাকির হোসেন জানান, প্রথমপর্যায়ে আগামীকাল কেয়ার বরইতলী, কাকারা, পূর্ব বড়ভেওলা ও ডেমুশিয়া ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯শ করে ৩ হাজার ৬শ পরিবারকে ২০ কেজি চাল, ১০ কেজি ডাল, ১ কেজি তৈল, ১০টি স্যালাইন ও নগদ ৫শ করে টাকা বিতরণ করবে। পরবর্তীতে অন্যান্য ইউনিয়নের তাদের এই ত্রাণ তৎপরতা চলবে।
Blogger Comment
Facebook Comment