পেকুয়া-চকরিয়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা তরছঘাটা পয়েন্টে স্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইব্রাহিম খলিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেকুয়া-চকরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি আলহাজ সাফিয়া খাতুনের চেষ্টায় তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। নদীর এ পয়েন্টে স্থায়ী বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হলে উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগমুক্ত হবে।উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইব্রাহীম খলিল জানান, বর্তমানে মাতামুহুরী নদীর বাটাখালী পয়েন্টে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করতে পারলে বাটাখালী বেইলি ব্রিজের সব পাটাতন সড়ক বিভাগ নিয়ম অনুযায়ী খুলে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, তার ইউনিয়ন পূর্ব বড় ভেওলার পাশাপাশি সাহারবিল, বিএম চর ও কোনাখালী ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করতে নতুন ব্রিজের কাজ শেষ হলে বেইলি ব্রিজের পাটাতনগুলো নদীর তরছঘাটা পয়েন্টে স্থাপনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করেছেন। তার ওই আবেদনে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও সর্বশেষে চকরিয়া-পেকুয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি আলহাজ সাফিয়া খাতুন সুপারিশ করেছেন। এমপি বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে তরছঘাটা পয়েন্টে ব্রিজটি বাস্তবায়নের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করেন।
সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বেইলি ব্রিজটি তরছঘাটা পয়েন্টে স্থাপনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়ে চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মাধ্যমে কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সচেতন মহল জানিয়েছে, তরছঘাটা পয়েন্টে বেইলি ব্রিজটি স্থাপিত হলে ওই চার ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচল ব্যবস্থায় পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা গতিশীল হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment