টেকনাফের বাহারছড়া সি-বিচ সড়কের ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গেছে অনেকদিন আগে। ফলে যান চলাচল বন্ধ। আহরিত মাছ বাজারজাত করতে সময় ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে জেলেদের।
সময়মতো বাজারে মাছ পৌঁছাতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়। জেলেদের এ দুর্ভোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকৌশল বিভাগসহ সংশিল্গষ্ট কারও নজর কাড়েনি। মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি গত ৬ মাস ধরে।
বাহারছড়া জেলে সমিতির সভাপতি মমতাজ মিয়া বলেন, ব্রিজটি মেরামত করে সড়কটি ব্যবহারোপযোগী করে তুলতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহকে অনেকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে বাহারছড়া ইউনিয়নবাসীর বিকল্প সড়ক হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার ব্রিজটিও নষ্ট হয়ে আছে। ফলে পর্যটকসহ জেলেদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। টেকনাফের বাহারছড়া, শামলাপুর বাজার এলাকার অনেক সচেতন লোকজন জড়ো হয়ে তাদের দুর্ভোগের কথা ব্যক্ত করে তারা বলেন, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি কর্মসৃজনের মাধ্যমে এসব জনদুর্ভোগ নিরসনের নর্িেদশ দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। তারা ওই প্রকল্পের অর্থ ভাগাভাগি করে খেয়েছে। কাজ করেনি। এ ব্রিজটির জন্য বাহারছড়ার সিংহভাগ মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহে অক্ষম হয়ে পড়েছে।
জেলে সুলতান মিয়া জানান, ভোটের সময় আমাদের সব কাজ করে দেওয়ার কথা দেন মেম্বার-চেয়ারম্যান। কাজের সময় তাদের পাওয়া মুশকিল, তারা কাজ করেন না। মেম্বার একটি সামান্য ব্রিজের মেরামত কাজ করতে পারেন না। অবিলম্বে ব্রিজের মেরামত কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছে টেকনাফ-বাহারছড়াবাসী।
এ ব্যাপারে সাংসদ আবদুর রহমান বদি সমকালকে জানান, বাহারছড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কয়েকটি সড়কের মেরামত কাজ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা সঠিকভাবে করেছে কিনা তা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন যারা তাদের জবাব দিতে হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment