রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ার ঘোনার পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত প্রাচীন পূরাকীর্তি চাতোপা জাদির সীমানা প্রাচীর প্রবল বর্ষণে ধসে পড়েছে।
প্রাচীর ধসে পড়ায় পাহাড়ের মাটি সরে গিয়ে জাদির মূল ভিত্তি ছুঁয়েছে। ভারী বর্ষণে যে কোনো মুহূর্তে জাদিটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, পাহাড়ধস ঠেকানো যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশ সচেতনরা।

বর্তমানে উঁচু পাহাড় চূড়ায় এ জাদিটির উচ্চতাও প্রায় ১০০ ফুট। পাহাড়ি পথ বেয়ে ওই চূড়ায় উঠতে হয় পর্যটক ও বৌদ্ধ পূজারিদের। পরিকল্পিত কোনো সিঁড়ি বা পথ না থাকায় ওই জাদিতে আসা ব্যক্তিদের অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। পাহাড়ের ওপর জাদির চারপাশে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি সীমানা প্রাচীর ছিল মানুষের নজর কাড়ার মতো; কিন্তু পাহাড়ধসের কারণে জাদির উত্তর ও পশ্চিম পাশের প্রাচীর ধসে পড়েছে অনেক আগে। এর স্মৃতি চিহ্ন এখনও দেখা যায় ।
বৌদ্ধ ভিক্ষু উচেকা চারা মহাথেরো জানান, ১৯৯২ সালে জাদিটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়। ২০১১ সালে জাদির গায়ে সোনালি রঙ লাগানো হয়। তিনি জানান, যে সীমানা প্রাচীরটি সম্প্রতি ভেঙে পড়ল, এ প্রাচীরের কারণে এতদিন পাহাড়টি রক্ষা পেয়েছে। পাহাড়ের চারপাশে জরুরিভাবে গাইড ওয়াল না দিলে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলও এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, জাদিটি পরিদর্শন করেছি। রামুর প্রাচীন বৌদ্ধ পুরাকীর্তির মধ্যে এ জাদিটি অন্যতম। পাহাড়ধসের কারণে বর্তমানে জাদিটি হুমকির মুখে। এসব পুরাকীর্তি আমাদের জাতিসত্তার মূল পরিচিতি। এ পুরাকীর্তি রক্ষা করার ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment