উদ্বোধনের এক মাস পার হলেও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমপ্রসারিত ভবনে চিকিৎসাসেবা চালু হয়নি। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই বহুতল ভবন এখনো তালাবদ্ধ।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, শতাধিক মহিলা রোগী শিশু কোলে বহিঃবিভাগের টিকিট কাউন্টারে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। হাসপাতালের বারান্দায় দেড় শ পুরুষ রোগীও ডাক্তারের অপেক্ষায়। হারাশিয়া গ্রাম থেকে আসা মরিয়ম খাতুন (৪৫) জানান, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত তার শিশুটিকে নিয়ে সকাল থেকে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করেছেন তিনি। কিন্তু ডাক্তারের দেখা মিলছে না।
হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, একজন ডাক্তার মহিলা রোগীদের প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেন। ওই ডাক্তার জানান, নাইট ডিউটি করে অপর একজন ডাক্তার বিশ্রাম নিচ্ছেন। তাই তাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ বলেন, 'এখানে ১২ জন ডাক্তারের স্থলে আছেন মাত্র তিন জন। নয় জন নার্সের বদলে দুই জন দিয়ে কোনোভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন আউট ডোরে প্রায় আড়াই শ রোগী থাকে। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।'
উদ্বোধনের পরেও সমপ্রসারিত ভবনে সেবা শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '৩১ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার মত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম যেখানে অপ্রতুল সেখানে বর্ধিত হাসপাতাল ভবন চালু করার কোনো মানে হয় না। বেড ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী দেওয়া হলে নতুন ভবন চালু হবে।'
জানা গেছে, সরকার ২০০৪ সালে এ হাসপাতালে একটি আধুনিক উন্নতমানের এক্সরে মেশিন সরবরাহ করে। কিন্তু এ পর্যন্ত এক্সরে মেশিনের বাক্সটিও খোলা হয়নি। এছাড়া মেডিসিন স্টোরে রক্ষিত মূল্যবান ওষুধের গুণগত মান সংরক্ষণের জন্য দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হলেও সেগুলো অচল। হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকার কারণে সেটি জরুরি কাজে ব্যবহৃত হয় না।
প্রয়োজনীয় লোকবল কেন দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া বলেন, 'দেশে ডাক্তারের অভাব রয়েছে। তবু উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেেএক্সর জন্য অতিসত্বর ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ বলেন, 'এখানে ১২ জন ডাক্তারের স্থলে আছেন মাত্র তিন জন। নয় জন নার্সের বদলে দুই জন দিয়ে কোনোভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন আউট ডোরে প্রায় আড়াই শ রোগী থাকে। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।'
উদ্বোধনের পরেও সমপ্রসারিত ভবনে সেবা শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '৩১ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার মত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম যেখানে অপ্রতুল সেখানে বর্ধিত হাসপাতাল ভবন চালু করার কোনো মানে হয় না। বেড ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী দেওয়া হলে নতুন ভবন চালু হবে।'
জানা গেছে, সরকার ২০০৪ সালে এ হাসপাতালে একটি আধুনিক উন্নতমানের এক্সরে মেশিন সরবরাহ করে। কিন্তু এ পর্যন্ত এক্সরে মেশিনের বাক্সটিও খোলা হয়নি। এছাড়া মেডিসিন স্টোরে রক্ষিত মূল্যবান ওষুধের গুণগত মান সংরক্ষণের জন্য দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হলেও সেগুলো অচল। হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকার কারণে সেটি জরুরি কাজে ব্যবহৃত হয় না।
প্রয়োজনীয় লোকবল কেন দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া বলেন, 'দেশে ডাক্তারের অভাব রয়েছে। তবু উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেেএক্সর জন্য অতিসত্বর ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
Blogger Comment
Facebook Comment