২৯ জুলাই ২০১১। ঢাকা থেকে একঝাঁক তরুণ-তরুণী রিফ্রেশমেন্ট ট্যুরে আসেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। সৈকতে নেমে কলাতলী পয়েন্টে ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা।
কিছুক্ষণ পর ঘটে যায় দুর্ঘটনা। জোয়ারের তোড়ে ভেসে যান তিন যুবক। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত লোকজনের চেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অন্যজনকে পাওয়া যায় পরদিন সকালে মাইল তিনেক দূরের চরে নিঃসাড় অবস্থায়। ওই তিন যুবকের একজন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা আবিদ শাহরিয়ার। অমায়িক ব্যবহার আর কণ্ঠের মাধুর্য দিয়ে যিনি অল্প সময়েই হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয়জন। অল্প কিছুদিন আগে বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। আরেকজন কাজী আশিক মুস্তাফা। তিনি ছিলেন মাত্রার গ্রাফিকস ডিজাইনার। মেধার গুণে অল্প সময়েই সহকর্মীদের প্রিয় হয়ে ওঠেন। তৃতীয়জন মুত্তাকিন মাহবুব। মাত্রার ক্লায়েন্ট সার্ভিসে কাজ করতেন। ভালো গাইতেন। গিটার বাজাতেন চমৎকার। তিনজনেরই চাকরির বয়স অল্প। একটু অসাবধানতায় হারিয়ে যায় তিন তিনটি তাজা প্রাণ।
গত এক দশকে কক্সবাজার সৈকতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ৯১ জন দর্শনার্থী। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই সৈকতের সি-ইন পয়েন্টে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের অডিট অফিসার মামুনুর রশিদ মামুন (৩৫)।
গত এক দশকে কক্সবাজার সৈকতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ৯১ জন দর্শনার্থী। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই সৈকতের সি-ইন পয়েন্টে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের অডিট অফিসার মামুনুর রশিদ মামুন (৩৫)।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর বৃহত্তর নিরবচ্ছিন্ন সৈকত হলেও এখানে গড়ে ওঠেনি পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সম্প্রতি নিরাপদ সৈকত গড়ে তোলার জন্য পর্যটন বোর্ডের কাছে এক কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আসন্ন পর্যটন মৌসুমের আগে কক্সবাজার সৈকতে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন, সাগরে সি-নেটিংয়ের ব্যবস্থাসহ সিকিউরিটি স্পিডবোট ক্রয় করা হবে। কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এক কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। আর তাতে নিরাপদ সৈকত গড়ে তুলতেও অনেক সহায়ক হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কোনো ধরনের চোরাবালি এবং গুপ্তখাল নেই। সমুদ্রের তলদেশ সমান না হওয়ায় অসাবধানতাবশত বালিতে পা ফসকে অনেকে স্রোতে ভেসে গিয়ে মারা যান। তিনি জানান, সমুদ্রসৈকতে দুর্ঘটনাকবলিত পর্যটকদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি লাইফ গার্ড, ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি ডুবুরিদের দিয়ে সৈকতে কর্মরত উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধানে গেস্ট হাউস, হোটেল-মোটেল এবং সৈকতে জনসচেতনতা ও সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়াচ টাওয়ার, বাইনোকুলার, লাইফ জ্যাকেট, স্পিডবোট, বিচ মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন এবং ওয়াটার স্কুটারসহ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবিদ, আশিক ও মুত্তাকিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাত্রার উদ্যোগে গত শুক্রবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার সৈকতের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছে। বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ অ্যাম্বুলেন্সটি সৈকতে বিপদাপন্ন লোকদের চিকিৎসাসেবায় ভূমিকা রাখবে।'
অন্যদিকে আবিদ-আশিক-মুত্তাকিনদের ঘটনার বিষয়টি নাড়া দিয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রাকেও। ওই ঘটনার পর তারা নিজ উদ্যোগে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তাদের সঙ্গে একত্র হয়েছে অ্যাড ক্লাব। পুরো বিষয় বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকছে কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সম্প্রতি নিরাপদ সৈকত গড়ে তোলার জন্য পর্যটন বোর্ডের কাছে এক কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আসন্ন পর্যটন মৌসুমের আগে কক্সবাজার সৈকতে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন, সাগরে সি-নেটিংয়ের ব্যবস্থাসহ সিকিউরিটি স্পিডবোট ক্রয় করা হবে। কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এক কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। আর তাতে নিরাপদ সৈকত গড়ে তুলতেও অনেক সহায়ক হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কোনো ধরনের চোরাবালি এবং গুপ্তখাল নেই। সমুদ্রের তলদেশ সমান না হওয়ায় অসাবধানতাবশত বালিতে পা ফসকে অনেকে স্রোতে ভেসে গিয়ে মারা যান। তিনি জানান, সমুদ্রসৈকতে দুর্ঘটনাকবলিত পর্যটকদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি লাইফ গার্ড, ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি ডুবুরিদের দিয়ে সৈকতে কর্মরত উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধানে গেস্ট হাউস, হোটেল-মোটেল এবং সৈকতে জনসচেতনতা ও সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়াচ টাওয়ার, বাইনোকুলার, লাইফ জ্যাকেট, স্পিডবোট, বিচ মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন এবং ওয়াটার স্কুটারসহ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবিদ, আশিক ও মুত্তাকিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাত্রার উদ্যোগে গত শুক্রবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার সৈকতের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছে। বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ অ্যাম্বুলেন্সটি সৈকতে বিপদাপন্ন লোকদের চিকিৎসাসেবায় ভূমিকা রাখবে।'
অন্যদিকে আবিদ-আশিক-মুত্তাকিনদের ঘটনার বিষয়টি নাড়া দিয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রাকেও। ওই ঘটনার পর তারা নিজ উদ্যোগে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তাদের সঙ্গে একত্র হয়েছে অ্যাড ক্লাব। পুরো বিষয় বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকছে কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
Blogger Comment
Facebook Comment