চকরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণে একমাস পরও সরকারি কোনো বরাদ্দ মেলেনি। উপজেলার মাতামুহুরী নদীর তীর এলাকার একাধিক পয়েন্টে গত মাসের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পাহাড়ি ঢলের পানিতে বিলীন হয়ে যায়।
বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় এসব পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে পৌরসভার শহররক্ষাবাঁধটি। এ কারণে নদীর পানি শহররক্ষাবাঁধ উপচে পৌরশহরের বাণিজ্যিক শহর চিরিঙ্গা-সোসাইটির একাধিক বিপণি বিতান পানিতে তলিয়ে গিয়ে শত শত দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে পৌরসভা ও উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। বন্যার পর কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সমূহ ফের সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন দফতরের পত্র প্রেরণ করেছেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলীর এই আশ্বাসের পর একমাস সময় অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণে এখনও কোনো ধরনের বরাদ্দ মেলেনি।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ নুরুল ইসলাম হায়দার জানান, এ অবস্থার কারণে বর্তমানে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের শত শত পরিবারের হাজার হাজার জনসাধারণ গত একমাস ধরে চরমভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জনদুর্ভোগ প্রতিরোধের জন্য কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর রক্ষাবাঁধ সংস্কারের জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু একমাস সময় অতিবাহিত হলেও তারা কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় পৌরসভার ১০ লাখ টাকার অনুদানে শহররক্ষা বাঁধের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
Blogger Comment
Facebook Comment