গোটা দেশ যখন ঈদের আনন্দে ভাসছে, ঠিক তখন কক্সবাজার জেলার ৩টি উপজেলার ৫০ গ্রামের পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ জোয়ার-ভাটার হিসেব মিলাতে ব্যস্ত। বানের পানিতে ডুবে আছে এসব গ্রামের মানুষের ঈদ আনন্দ।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগ মুহুর্তে অমাবস্যা। আর অমাবস্যার সঙ্গে শনিবার থেকে ভারী বর্ষণ। এতে একদিকে অমাবস্যার জোয়ার ও অপরদিকে বৃষ্টির পানিতে কক্সবাজারের টেকনাফ, চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এর মধ্যে টেকনাফের ২২টি গ্রামের ৭০ হাজার, চকরিয়ার ১৭টি গ্রামের লক্ষাধিক এবং মহেশখালীর ১১টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বাংলানিউজকে জানান, নাফনদী ও বঙ্গোপসাগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ২২টি গ্রামের লোকজন অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জোয়ারের পানিতে এসব এলাকার ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এতে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, কাংখারডেইল, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সুজারপাড়া, নাজির পাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাং ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া, পানছড়িপাড়া, মগপাড়া, লাপারঘোনা, হারিয়াখালী, কাটাবনিয়া, কচুবনিয়া, শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া, মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিম-উত্তর পাড়া, ক্যাম্পপাড়া, বিল পাড়া, জালিয়াপাড়া ও গোলাপাড়া।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে এসব গ্রামের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই।
শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়ার যুবক মোহাম্মদ শাহ এমরান বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে ঈদের কথা ভাবার সুযোগও নেই।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার আবুল হোসেন নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, এবারের ঈদ পানিতে ভাসতে ভাসতে কাটাতে হবে। এ দুর্ভোগ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দেখে গেছেন। অথচ সমাধান হলো না।
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে ঈদ উদযাপন করবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ধালঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান আহছান উল্লাহ বাচ্চু।
তিনি জানান, ধলঘাটার ১১ গ্রামের মানুষ বস্তুহারা হয়েছে। এরা কেউ এলাকার বাইরে, কেউবা স্বজনদের বাড়িতে আড়াআড়ি করে বসবাস করছেন। ঈদের সকালে যেসময় ঈদের নামাজ পড়ার কথা সে সময় এখানে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত থাকবে অনেক এলাকা। ফলে ঈদের নামাযও অন্য এলাকায় পড়তে হবে।
চকরিয়ায় এবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে উপজেলার ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী গ্রামের এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রথম দফা ভয়াবহ বন্যায় মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির প্রবল স্রোতে চিরিঙ্গা-ঘুনিয়া সড়কের দিগরপানখালী অংশের প্রায় ২শ মিটার সড়ক ভেঙে একাকার হয়ে যায়।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বাংলানিউজকে জানান, পরপর কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার কারণে পৌরসভার অন্তত ২ হাজার পরিবার ভিটে-বাড়ি হারিয়েছেন। তাই এসব পরিবারে ঈদের আনন্দ থাকার কথা নয়।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, একের পর এক বন্যা এবং একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরসভার ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি গ্রাম। এখনও দুই ওয়ার্ড থেকে ঢল ও বৃষ্টির পানি নামেনি । একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল এবং উপকূলীয় ইউনিয়ন ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, পূর্ব বড়ভেওলা ও বিএমচর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলে।
এর মধ্যে টেকনাফের ২২টি গ্রামের ৭০ হাজার, চকরিয়ার ১৭টি গ্রামের লক্ষাধিক এবং মহেশখালীর ১১টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বাংলানিউজকে জানান, নাফনদী ও বঙ্গোপসাগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ২২টি গ্রামের লোকজন অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জোয়ারের পানিতে এসব এলাকার ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এতে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, কাংখারডেইল, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সুজারপাড়া, নাজির পাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাং ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া, পানছড়িপাড়া, মগপাড়া, লাপারঘোনা, হারিয়াখালী, কাটাবনিয়া, কচুবনিয়া, শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া, মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিম-উত্তর পাড়া, ক্যাম্পপাড়া, বিল পাড়া, জালিয়াপাড়া ও গোলাপাড়া।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে এসব গ্রামের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই।
শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়ার যুবক মোহাম্মদ শাহ এমরান বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে ঈদের কথা ভাবার সুযোগও নেই।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার আবুল হোসেন নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, এবারের ঈদ পানিতে ভাসতে ভাসতে কাটাতে হবে। এ দুর্ভোগ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দেখে গেছেন। অথচ সমাধান হলো না।
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে ঈদ উদযাপন করবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ধালঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান আহছান উল্লাহ বাচ্চু।
তিনি জানান, ধলঘাটার ১১ গ্রামের মানুষ বস্তুহারা হয়েছে। এরা কেউ এলাকার বাইরে, কেউবা স্বজনদের বাড়িতে আড়াআড়ি করে বসবাস করছেন। ঈদের সকালে যেসময় ঈদের নামাজ পড়ার কথা সে সময় এখানে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত থাকবে অনেক এলাকা। ফলে ঈদের নামাযও অন্য এলাকায় পড়তে হবে।
চকরিয়ায় এবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে উপজেলার ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী গ্রামের এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রথম দফা ভয়াবহ বন্যায় মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির প্রবল স্রোতে চিরিঙ্গা-ঘুনিয়া সড়কের দিগরপানখালী অংশের প্রায় ২শ মিটার সড়ক ভেঙে একাকার হয়ে যায়।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বাংলানিউজকে জানান, পরপর কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার কারণে পৌরসভার অন্তত ২ হাজার পরিবার ভিটে-বাড়ি হারিয়েছেন। তাই এসব পরিবারে ঈদের আনন্দ থাকার কথা নয়।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, একের পর এক বন্যা এবং একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরসভার ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি গ্রাম। এখনও দুই ওয়ার্ড থেকে ঢল ও বৃষ্টির পানি নামেনি । একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল এবং উপকূলীয় ইউনিয়ন ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, পূর্ব বড়ভেওলা ও বিএমচর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলে।
Blogger Comment
Facebook Comment