কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামুর বনাঞ্চল দখলে নিচ্ছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। বনভূমি দখল করে তারা বাড়িঘর নির্মাণ করছেন। বিস্তারিত খবর পাঠিয়েছেন প্রতিনিধিরা :
চকরিয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে প্রায় ২০০ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি। এসব বনভূমিতে কমপক্ষে অবৈধভাবে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে তারা সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকায় বনভূমিসহ একেকটি ঘর বিক্রি করছে লোকজনের কাছে। কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় দখলবাজরা এই দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দখলে নেয়া বনভূমি উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন বা বনবিভাগ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা মোটা অংকের উেকাচ নিয়ে দখলদারদের সহযোগিতা দিচ্ছে। এ কারণে বন কর্মকর্তারা এই দখলদারিত্বে একেবারে বাধা দিচ্ছে না। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতার বিল, রাজারবিল (নোয়াপাড়া) ও ঘুনিয়ায় ঘরবাড়ি তৈরি করে বনভূমি বিক্রি চলছে। এসব বনভূমির মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ আগর গাছ কেটে দখলে নেয়া ৫০ হেক্টর ছাড়াও স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী মিলিয়ে সামাজিক বনায়ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯-১০ সালের ৫০ হেক্টর আগর বাগানের আগর গাছ কাটার পর শ্রমিক দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে আগুন দেয়ার কাজ করছে দখলবাজরা। অনেক স্থানে পাহাড়ের পাদদেশ কেটে থলির সঙ্গে মিলিয়ে ধানী জমিও বের করা হচ্ছে। এছাড়াও আগে দখলে নেয়া তিন মৌজায় সামাজিক বনায়নের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বাগানসহ প্রায় ২০০ হেক্টর বনভূমিতে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক অবৈধ ঘর তৈরি করা হয়েছে।
চকরিয়া আগর বাগান সমবায় সমিতির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ‘বর্তমান ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান যোগদানের পর থেকেই সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু দখলবাজদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দেয়াতো দূরের কথা, তাদের কর্মকান্ডে কোনোদিন বাধাও দেননি।’
তারা ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি দলের ভাবমূর্তি ভুলুণ্ঠিত করছেন। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনোটাই সত্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি এই রেঞ্জে যোগদানের পর অভিযান চালিয়ে কয়েকশত অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করেছিলাম। পরে তা আবারও দখলে নিয়ে নেয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা।’ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম খালেক খান বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বনভূমি দখলে নেয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘উচিতার বিল, রাজারবিল (নোয়াপাড়া) ও ঘুনিয়ায় অবৈধভাবে নির্মিত ঘরগুলো উচ্ছেদ করতে অচিরেই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামু উপজেলার ঈদগড় রেঞ্জের সংরক্ষিত বন প্রভাবশালী মহল দখল করে নিয়েছে। এসব বনাঞ্চলে রাবার বাগান সৃজনের নামে শুষ্ক মৌসুমে পুড়ে ছাই করে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত করেছে ভূমিদস্যুর দল। গত মঙ্গলবার বন বিভাগের যৌথ অভিযান চলাকালীন সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ঈদগড় রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা চাইল্কাতলি, বইজ্যাকাটা, মোহরীঘোনা, কালিবুনিয়াসহ আরও বিশাল পাহাড়ি সংরক্ষিত বনভূমি বর্তমানে প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা দখল করে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত করেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে ভূমিদস্যুরা কোটি কোটি টাকার মাদার ট্রিসহ কঁচি সবুজবৃক্ষ কেটে পাচার ও পুড়ে ছাই করার পর রাবার বাগান সৃজনের নামে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে। এতে সরকার হারিয়েছে বিশাল অংকের রাজস্ব। গত দুই মাস আগে বনবিভাগ-বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ভূমি দস্যুদের লাগানো তিন হাজার রাবার চারা ধ্বংস করে দেয়। ওই অভিযানের ফলে কিছু দিন ভূমিদস্যুদের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গত রমজান মাসে ও ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রকাশ্যে শত শত শ্রমিক নিয়ে আবারও ভূমিদস্যুরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখলে নিয়ে রাবার চারা সৃজন করেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান জানান, সম্পূর্ণ বন বিভাগের জায়গায় ভূমি দস্যুরা রাবার চারা সৃজন করেছে। তিনি আরও জানান, সার্ভেয়ারের পরিমাপে হয়ে উঠে বন বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি।
তারা ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি দলের ভাবমূর্তি ভুলুণ্ঠিত করছেন। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনোটাই সত্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি এই রেঞ্জে যোগদানের পর অভিযান চালিয়ে কয়েকশত অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করেছিলাম। পরে তা আবারও দখলে নিয়ে নেয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা।’ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম খালেক খান বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বনভূমি দখলে নেয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘উচিতার বিল, রাজারবিল (নোয়াপাড়া) ও ঘুনিয়ায় অবৈধভাবে নির্মিত ঘরগুলো উচ্ছেদ করতে অচিরেই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামু উপজেলার ঈদগড় রেঞ্জের সংরক্ষিত বন প্রভাবশালী মহল দখল করে নিয়েছে। এসব বনাঞ্চলে রাবার বাগান সৃজনের নামে শুষ্ক মৌসুমে পুড়ে ছাই করে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত করেছে ভূমিদস্যুর দল। গত মঙ্গলবার বন বিভাগের যৌথ অভিযান চলাকালীন সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ঈদগড় রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা চাইল্কাতলি, বইজ্যাকাটা, মোহরীঘোনা, কালিবুনিয়াসহ আরও বিশাল পাহাড়ি সংরক্ষিত বনভূমি বর্তমানে প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা দখল করে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত করেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে ভূমিদস্যুরা কোটি কোটি টাকার মাদার ট্রিসহ কঁচি সবুজবৃক্ষ কেটে পাচার ও পুড়ে ছাই করার পর রাবার বাগান সৃজনের নামে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে। এতে সরকার হারিয়েছে বিশাল অংকের রাজস্ব। গত দুই মাস আগে বনবিভাগ-বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ভূমি দস্যুদের লাগানো তিন হাজার রাবার চারা ধ্বংস করে দেয়। ওই অভিযানের ফলে কিছু দিন ভূমিদস্যুদের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গত রমজান মাসে ও ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রকাশ্যে শত শত শ্রমিক নিয়ে আবারও ভূমিদস্যুরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখলে নিয়ে রাবার চারা সৃজন করেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান জানান, সম্পূর্ণ বন বিভাগের জায়গায় ভূমি দস্যুরা রাবার চারা সৃজন করেছে। তিনি আরও জানান, সার্ভেয়ারের পরিমাপে হয়ে উঠে বন বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি।
Blogger Comment
Facebook Comment