বাংলাদেশী বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় গুরু ও ধুতাঙ্গ সাধক আর্য্যশ্রাবক শ্রীমৎ শীলানন্দ স্থবির (ধুতাঙ্গভান্তে) গহীন জঙ্গলে খোলা আকাশের নীচে প্রায় সাড়ে ৩ বৎসর যাবৎ কঠোর ধ্যান সাধনা শেষ করে মন্দিরে প্রত্যাবর্তন করছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি আগামী ৬ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার উল্টাছড়ির মাইচছড়িতে নির্মিত আর্য্যপুরষ শীলানন্দ ধমোদয় বিহারে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাবর্তন করবেন। তাঁর এই মহাপ্রত্যাবর্তনের খবর ছড়িয়ে পড়লে লাখো ভক্তের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত তাঁকে দেখতে এবং আশীর্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী হতে এখনো পর্যন্ত কঠোর সাধনায় ব্রত আছেন। তিনি আগামী ২০১২ সালের ৬ জুন কুঠিরে কঠোর সাধনা শেষ করে মন্দিরে প্রবেশ করবেন। এক সময় গহীন জঙ্গলের একটি কুঠিরে তাঁকে নিবিষ্ট ধ্যানে মগ্ন দেখে সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় থেকে ‘ধুতাঙ্গ ভান্তে’’ নামে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তিনি যখন ধ্যান মগ্ন থাকতেন, কখনও আহার, পানি কিছুই খেতেন না, এমনকি টয়লেটেও যেতেন না এবং ঘুমাতেন না। কোন আধ্যাত্মিক শক্তি না থাকলে তা কখনো সম্ভব নয়। তিনি এখন ‘‘ধুতাঙ্গ ভান্তে’’ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, তিনি রাঙ্গুনিয়ার সোনাইছড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ৪ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর মায়ের নাম নিলুপ্রভা বডুয়া ও বাবার নাম মৃত হেমরঞ্জন বডুয়া। ছোট বেলায় শ্রামন হয়েছিলেন। তাঁর গৃহী নাম ছিল- বিকাশ বডুয়া। ধুতাঙ্গ ভান্তের ভক্ত খাগড়াছড়ির সুব্রত বডুয়া ও বিন্দু বড়–য়া এ প্রতিবেদককে জানান, পরমপূজ্য ভান্তে দীর্ঘদিন ধরে একটি কুঠিরে কঠোর ধ্যান সাধনায় নিবিষ্ট ছিলেন। ধুতাঙ্গ ভান্তে ৬ জুন মন্দিরে প্রত্যাবর্তন করবেন, এই জন্য পুরো খাগড়াছড়ির বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Blogger Comment
Facebook Comment