কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ দুর্যোগ-ঝুঁকিতে আছে।
এত মানুষের প্রাণ রক্ষায় উপজেলায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রও নেই। মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার জেলে আবদুল মাজেদ ও আবুল কালাম জানান, তাঁদের বাড়ির পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্মিত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এখন সামান্য জোয়ারের পানিতে ভাঙা বাঁধ প্লাবিত হয়ে যায়। আসন্ন বর্ষায় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে এ বাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সাগরে হারিয়ে যাবে এ গ্রামের দেড় শতাধিক বসতবাড়ি।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, উপজেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী ইউনিয়ন মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়ার লক্ষাধিক মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এসব গ্রামের সাত হাজার মানুষ মারা যায়। সেই স্মৃতি এখনো মোছেনি। তাই ঘরে ঘরে দুর্যোগ-আতঙ্ক লেগে আছে। উপজেলায় ৪৫ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আরও ১১ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা জানান, এই ইউনিয়নের কাকপাড়া পয়েন্টে এক কিলোমিটার, শরৎঘোনা পয়েন্টে এক কিলোমিটার ও পশ্চিমকুল এলাকার আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙাচোরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভাঙা এই বাঁধ মেরামত করা না হলে ৪০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি সাগরে তলিয়ে যাবে।
উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ টি এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ইউনিয়নের করিয়ারদিয়ায় দেড় কিলোমিটার ও গোদারপাড় এলাকায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভাঙা। বর্ষার আগে সংস্কার জরুরি। নয়তো ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে। রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, তাঁর ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনারটেক থেকে নতুনঘোনা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার বাঁধ ভাঙাচোরা। বর্ষার আগে মেরামত না করলে ইউনিয়নের ৪৫ হাজার মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়বে। চেয়ারম্যান নজরুল জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলেও এই ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে মাত্র পাঁচটি। জরুরি ভিত্তিতে বকশিয়াঘোনা, নতুন ঘোনা ও মাতবরপাড়ায় আরও তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের জন্য লেখালেখি করেও সাড়া মিলছে না।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই খাজা আলামীন জানান, জলোচ্ছ্বাস থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য এই উপজেলায় নতুন করে সাতটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে মগনামায় তিনটি, রাজাখালীতে দুটি এবং উজানটিয়া ও বারবাকিয়ায় একটি করে কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি ভাঙা বাঁধ পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করা না গেলে বর্ষায় সেই কাজ সম্ভব হবে না।
পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মইনুদ্দিন জানান, মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও নড়বড়ে বেড়িবাঁধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, উপজেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী ইউনিয়ন মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়ার লক্ষাধিক মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এসব গ্রামের সাত হাজার মানুষ মারা যায়। সেই স্মৃতি এখনো মোছেনি। তাই ঘরে ঘরে দুর্যোগ-আতঙ্ক লেগে আছে। উপজেলায় ৪৫ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আরও ১১ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা জানান, এই ইউনিয়নের কাকপাড়া পয়েন্টে এক কিলোমিটার, শরৎঘোনা পয়েন্টে এক কিলোমিটার ও পশ্চিমকুল এলাকার আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙাচোরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভাঙা এই বাঁধ মেরামত করা না হলে ৪০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি সাগরে তলিয়ে যাবে।
উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ টি এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ইউনিয়নের করিয়ারদিয়ায় দেড় কিলোমিটার ও গোদারপাড় এলাকায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভাঙা। বর্ষার আগে সংস্কার জরুরি। নয়তো ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে। রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, তাঁর ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনারটেক থেকে নতুনঘোনা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার বাঁধ ভাঙাচোরা। বর্ষার আগে মেরামত না করলে ইউনিয়নের ৪৫ হাজার মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়বে। চেয়ারম্যান নজরুল জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলেও এই ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে মাত্র পাঁচটি। জরুরি ভিত্তিতে বকশিয়াঘোনা, নতুন ঘোনা ও মাতবরপাড়ায় আরও তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের জন্য লেখালেখি করেও সাড়া মিলছে না।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই খাজা আলামীন জানান, জলোচ্ছ্বাস থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য এই উপজেলায় নতুন করে সাতটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে মগনামায় তিনটি, রাজাখালীতে দুটি এবং উজানটিয়া ও বারবাকিয়ায় একটি করে কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি ভাঙা বাঁধ পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করা না গেলে বর্ষায় সেই কাজ সম্ভব হবে না।
পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মইনুদ্দিন জানান, মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও নড়বড়ে বেড়িবাঁধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
Blogger Comment
Facebook Comment