কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে ঘরবাড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার যোগসাজশে লোকজন সরকারি জমি দখল করলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না।
গত এক মাসে অন্তত ৩৫০ একর বনভূমি দখল করে পাঁচ শতাধিক ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে।
গত রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফাঁসিয়াখালী বন রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন উচিতার বিল, রাজার বিল ও ঘুনিয়া এলাকায় টিনের ছাউনি ও মাটির বেড়া তুলে অসংখ্য বসতবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এসব ঘরে নারী-শিশুরা বসতি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, ১৫-২০ দিন আগে শতাধিক লোক উচিতার বিলের প্রায় ৭০ একরের আগরবাগানের দুই বছর বয়সী গাছ উপড়ে ফেলে ভূমিটি দখল করে নেয়। এখন তাতে ২০-৩০টি বসতবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই আগরবাগানের মালিক চকরিয়া আগরবাগান সমবায় সমিতি।
এই সমিতির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সামাজিক বনায়নের আওতায় দরিদ্র ১০০ জন উপকারভোগীর নামে বন বিভাগের বরাদ্দ ওই ৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় এক লাখ আগরগাছ রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন ওই ৫০ হেক্টর বনভূমি দখল করে নেয় এবং তাতে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি তৈরি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমিতির বিপরীতে আদা ও হলুদ চাষের নামে কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ঘটনায় সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরপর আগরবাগান দখলে নেন কতিপয় সদস্য। এ নিয়ে বিএনপির সমর্থক একটি গোষ্ঠী দখলদার হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
দেখা গেছে, উচিতার বিলের দক্ষিণে বিশাল বনভূমি দখল করে নানা অবকাঠামো নির্মাণ করছে পালাকাটা ভূমিহীন সমবায় সমিতি লি.। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, সাত বছর আগে সমিতির ৫১ জন ভূমিহীন সদস্যের বিপরীতে প্রায় ১০০ একর বনভূমি দখল করে বন্দোবস্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০১১ সালে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম এই ভূমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। এই জমি সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। এর সঙ্গে বন বিভাগের কোনো সম্পর্ক নেই।
কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম খালেক খান বলেন, উচিতার বিল, রাজার বিলসহ অন্যান্য বনভূমিতে তৈরি করা ঘরবাড়িও শিগগির উচ্ছেদ করা হবে।
গত রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফাঁসিয়াখালী বন রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন উচিতার বিল, রাজার বিল ও ঘুনিয়া এলাকায় টিনের ছাউনি ও মাটির বেড়া তুলে অসংখ্য বসতবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এসব ঘরে নারী-শিশুরা বসতি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, ১৫-২০ দিন আগে শতাধিক লোক উচিতার বিলের প্রায় ৭০ একরের আগরবাগানের দুই বছর বয়সী গাছ উপড়ে ফেলে ভূমিটি দখল করে নেয়। এখন তাতে ২০-৩০টি বসতবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই আগরবাগানের মালিক চকরিয়া আগরবাগান সমবায় সমিতি।
এই সমিতির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সামাজিক বনায়নের আওতায় দরিদ্র ১০০ জন উপকারভোগীর নামে বন বিভাগের বরাদ্দ ওই ৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় এক লাখ আগরগাছ রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন ওই ৫০ হেক্টর বনভূমি দখল করে নেয় এবং তাতে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি তৈরি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমিতির বিপরীতে আদা ও হলুদ চাষের নামে কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ঘটনায় সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরপর আগরবাগান দখলে নেন কতিপয় সদস্য। এ নিয়ে বিএনপির সমর্থক একটি গোষ্ঠী দখলদার হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
দেখা গেছে, উচিতার বিলের দক্ষিণে বিশাল বনভূমি দখল করে নানা অবকাঠামো নির্মাণ করছে পালাকাটা ভূমিহীন সমবায় সমিতি লি.। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, সাত বছর আগে সমিতির ৫১ জন ভূমিহীন সদস্যের বিপরীতে প্রায় ১০০ একর বনভূমি দখল করে বন্দোবস্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০১১ সালে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম এই ভূমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। এই জমি সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। এর সঙ্গে বন বিভাগের কোনো সম্পর্ক নেই।
কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম খালেক খান বলেন, উচিতার বিল, রাজার বিলসহ অন্যান্য বনভূমিতে তৈরি করা ঘরবাড়িও শিগগির উচ্ছেদ করা হবে।
Blogger Comment
Facebook Comment