রামুর বৌদ্ধপল্লি ও মন্দিরে হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। তাদের মধ্যে আছেন জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনের সদস্য, মাদ্রাসাছাত্র ও রোহিঙ্গা নেতা। তবে কারা তাঁদের ইন্ধন দিয়েছে, তা এখনো অস্পষ্ট।পুলিশ, তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র ও প্রথম আলোর অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ব্যবহার করা একটি ট্রাক গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চালক ও হেলপারসহ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ আটক করেছে। ট্রাকচালক পুলিশকে জানান, ঘটনার রাতে হামলাকারীদের নিয়ে কক্সবাজার থেকে রামুতে ট্রাকটি নিয়ে যান হেলপার রমজান আলী। এর আগে কক্সলাইন নামের একটি পরিবহনের বাসও আটক করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধমন্দির, বসতবাড়ি ও দোকানপাটে হামলার সময় এসব ট্রাক-বাসে করে লোক আনা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ছবি দেখে হামলাকারীদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ এদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। তবে এরা গা ঢাকা দিয়েছে।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার ছবি যুক্ত করার খবর প্রচারের পর প্রথম প্রতিবাদ মিছিল বের হয় রাত সাড়ে নয়টার দিকে। স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের নেতা বাবু ও মৌলভী হাসান মিছিলে নেতৃত্বে দেন। এতে ৫০-৬০ জন লোক ছিল। মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘বড়ুয়াদের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে।’ মিছিল শেষে সমাবেশ হয়। এতে রামু নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে সেলিম ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা আনসারুল হকসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন। সমাবেশের খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজিবুল ইসলাম সেখানে যান। তিনিও বক্তব্য দেন। সমাবেশে ততক্ষণে দুই-আড়াই শ লোক জড়ো হয়। এক ঘণ্টা পর সমাবেশ শেষ হয়। তবে লোকজন তখনো রামু বাজারের মোড়ে অবস্থান করছিল।
আসতে থাকে গাড়ির বহর: রামু নাগরিক কমিটির নেতা সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার পর তিনি লক্ষ করেন, হঠাৎ করে বিভিন্ন যানবাহনে করে শত শত লোক রামুর দিকে আসছে। কেউ আসে গাড়িতে, কেউ ট্রাকে আবার কেউ মোটরসাইকেলে করে। বেশির ভাগ লোক আসে কক্সবাজার জেলা শহর আর আশপাশের এলাকা থেকে। একটু দূরে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে লোকজন আসতে থাকে কক্সলাইনের গাড়িতে করে।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার ছবি যুক্ত করার খবর প্রচারের পর প্রথম প্রতিবাদ মিছিল বের হয় রাত সাড়ে নয়টার দিকে। স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের নেতা বাবু ও মৌলভী হাসান মিছিলে নেতৃত্বে দেন। এতে ৫০-৬০ জন লোক ছিল। মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘বড়ুয়াদের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে।’ মিছিল শেষে সমাবেশ হয়। এতে রামু নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে সেলিম ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা আনসারুল হকসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন। সমাবেশের খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজিবুল ইসলাম সেখানে যান। তিনিও বক্তব্য দেন। সমাবেশে ততক্ষণে দুই-আড়াই শ লোক জড়ো হয়। এক ঘণ্টা পর সমাবেশ শেষ হয়। তবে লোকজন তখনো রামু বাজারের মোড়ে অবস্থান করছিল।
আসতে থাকে গাড়ির বহর: রামু নাগরিক কমিটির নেতা সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার পর তিনি লক্ষ করেন, হঠাৎ করে বিভিন্ন যানবাহনে করে শত শত লোক রামুর দিকে আসছে। কেউ আসে গাড়িতে, কেউ ট্রাকে আবার কেউ মোটরসাইকেলে করে। বেশির ভাগ লোক আসে কক্সবাজার জেলা শহর আর আশপাশের এলাকা থেকে। একটু দূরে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে লোকজন আসতে থাকে কক্সলাইনের গাড়িতে করে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় মোট ২৬টি গাড়িতে করে লোকজন রামুতে আসে। এর মধ্যে ১২টি ছিল কক্সলাইন পরিবহনের গাড়ি, বাকিগুলো ট্রাক, খোলা জিপ ও ছোট-বড় পিকআপ। ৪০ থেকে ৪২টি মোটরসাইকেলে করেও লোক আসে। মোটরসাইকেল বহরের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার শহরের তারাবানিয়ারছড়ার জসিম উদ্দিন, পাহাড়তলীর শেখ সেলিম ও টেকপাড়ার ফয়সল।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানান, কক্সলাইনের গাড়ি ভাড়া করে হামলাকারীদের আনার আয়োজন করেন স্থানীয় জামায়াতের একজন নেতা। তিনি ফোন করে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া থেকে লোকজনকে আসতে বলেন। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জি এম রহিমুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের কেউ জড়িত নন।
কক্সলাইন পরিবহনের চেয়ারম্যান এম এ বারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর পরিবহনের একটি ছাড়া আর কোনো গাড়ি ওই রাতে বের হয়নি। যে গাড়িটি বের হয়েছিল, সেটি পুলিশ আটক করেছে।
সীতাকুণ্ড থেকে আটক ট্রাকের হেলপার রমজান আলী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, কক্সবাজার শহরের মনির নামের একজন ব্যবসায়ী শহরের লারপাড়া থেকে ট্রাকটি ভাড়া করে রামুতে লোক পাঠান। মনিরের পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানান।
কারা এরা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানান, তাঁরা নিশ্চিত, এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বিক্ষোভ শুরু করলেও পরে আর ঘটনা তাদের হাতে থাকেনি। ক্ষমতাসীন দলের ছেলেদের বিক্ষোভের কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করছেন, রামু আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইমুম সরওয়ার ওরফে কমল। আরেক পক্ষে আছেন তাঁর আপন বড় ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার ওরফে কাজল। এক পক্ষের লোকজন শক্তির মহড়া দেখাতেই এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। তবে বিক্ষোভ শেষ হতে না হতেই এর সুযোগ গ্রহণ করে জামায়াত ও রোহিঙ্গা জঙ্গিরা।
কারা হামলা চালাল: পুলিশ সূত্র জানায়, ওই রাতে ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের প্রধান সহায়তাকারী ছিলেন শ্রীকুলের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান। তিনি হামলার জন্য পেট্রল ও কেরোসিন সরবরাহ করেন। তাঁর সহযোগী রাকিব উদ্দিন এবং আরেকজন ইউপি সদস্য ও বিএনপির নেতা ওসমান গনি। লামারপাড়া মন্দিরে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অফিসের চরের বিএনপির সদস্য জাহিদুল হক, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন জুলেখারপাড়ার ছালামত উল্লাহ কাদের। আরও আছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা আফসার কামাল, ছাত্রদলের নেতা আতিক, তাঁর সহযোগী রিয়াদুল হক, কামাল উদ্দিন, সাংসদের ঘনিষ্ঠ নেতা আতিকুল হক ও মাসুদ।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত কি না, তাঁর জানা নেই। তবে ক্ষমতাসীন দলের অনেকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের মিছিল-সমাবেশে অংশ নেন বলে খবর রয়েছে।
গাড়িবহর নিয়ে সাদাচিং মন্দিরে হামলার নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা খরুলিয়ার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ওরফে বাহাদুর। বাহাদুরকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হামলা ও অগ্নিসংযোগে আরও ছিলেন শিবিরের কর্মী সোহরাব হোসেন, জামায়াতের কর্মী নুর মোহাম্মদ ও শিবিরের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম।
উত্তর মিঠাছড়ি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র মন্দিরে হামলা করেছে লামারপাড়ার সিরাজুল ইসলাম ও বদরুদ্দোজা। হাজারিকুল বৌদ্ধমন্দিরে হামলা করে ফয়েজ আহমদ। এদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানান, কক্সলাইনের গাড়ি ভাড়া করে হামলাকারীদের আনার আয়োজন করেন স্থানীয় জামায়াতের একজন নেতা। তিনি ফোন করে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া থেকে লোকজনকে আসতে বলেন। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জি এম রহিমুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের কেউ জড়িত নন।
কক্সলাইন পরিবহনের চেয়ারম্যান এম এ বারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর পরিবহনের একটি ছাড়া আর কোনো গাড়ি ওই রাতে বের হয়নি। যে গাড়িটি বের হয়েছিল, সেটি পুলিশ আটক করেছে।
সীতাকুণ্ড থেকে আটক ট্রাকের হেলপার রমজান আলী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, কক্সবাজার শহরের মনির নামের একজন ব্যবসায়ী শহরের লারপাড়া থেকে ট্রাকটি ভাড়া করে রামুতে লোক পাঠান। মনিরের পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানান।
কারা এরা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানান, তাঁরা নিশ্চিত, এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বিক্ষোভ শুরু করলেও পরে আর ঘটনা তাদের হাতে থাকেনি। ক্ষমতাসীন দলের ছেলেদের বিক্ষোভের কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করছেন, রামু আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইমুম সরওয়ার ওরফে কমল। আরেক পক্ষে আছেন তাঁর আপন বড় ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার ওরফে কাজল। এক পক্ষের লোকজন শক্তির মহড়া দেখাতেই এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। তবে বিক্ষোভ শেষ হতে না হতেই এর সুযোগ গ্রহণ করে জামায়াত ও রোহিঙ্গা জঙ্গিরা।
কারা হামলা চালাল: পুলিশ সূত্র জানায়, ওই রাতে ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের প্রধান সহায়তাকারী ছিলেন শ্রীকুলের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান। তিনি হামলার জন্য পেট্রল ও কেরোসিন সরবরাহ করেন। তাঁর সহযোগী রাকিব উদ্দিন এবং আরেকজন ইউপি সদস্য ও বিএনপির নেতা ওসমান গনি। লামারপাড়া মন্দিরে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অফিসের চরের বিএনপির সদস্য জাহিদুল হক, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন জুলেখারপাড়ার ছালামত উল্লাহ কাদের। আরও আছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা আফসার কামাল, ছাত্রদলের নেতা আতিক, তাঁর সহযোগী রিয়াদুল হক, কামাল উদ্দিন, সাংসদের ঘনিষ্ঠ নেতা আতিকুল হক ও মাসুদ।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত কি না, তাঁর জানা নেই। তবে ক্ষমতাসীন দলের অনেকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের মিছিল-সমাবেশে অংশ নেন বলে খবর রয়েছে।
গাড়িবহর নিয়ে সাদাচিং মন্দিরে হামলার নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা খরুলিয়ার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ওরফে বাহাদুর। বাহাদুরকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হামলা ও অগ্নিসংযোগে আরও ছিলেন শিবিরের কর্মী সোহরাব হোসেন, জামায়াতের কর্মী নুর মোহাম্মদ ও শিবিরের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম।
উত্তর মিঠাছড়ি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র মন্দিরে হামলা করেছে লামারপাড়ার সিরাজুল ইসলাম ও বদরুদ্দোজা। হাজারিকুল বৌদ্ধমন্দিরে হামলা করে ফয়েজ আহমদ। এদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
হামলায় আরও নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিঙ্গা হাফেজ মোহাম্মদ। তিনি আরাকানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আরও আছেন রোহিঙ্গা নেতা জাবেদ ইকবাল, এনামুল হক, জহিরুল ইসলাম, হাসান মাসুদ, রাশেদুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটি এলাকায়: রামুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গতকালও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দিতে পারবেন। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. নওশের আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কমিটি এলাকায়: রামুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গতকালও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দিতে পারবেন। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. নওশের আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে।
ওই তরুণের খোঁজ নেই: যে তরুণের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার কথিত ছবি যুক্ত করা নিয়ে এ ঘটনা, গতকালও সেই তরুণের খোঁজ মেলেনি। উত্তম কুমার বড়ুয়া নামের এই তরুণ স্ত্রী-সন্তানসহ গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, মুঠোফোনের তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ বান্দরবানে তাঁর অবস্থান বোঝা গেছে। কেন্দ্রীয় সীমা বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ বড়ুয়া গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন, উত্তমকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকে ছবিটি যুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
দোকানটি বন্ধ: যে কম্পিউটারের দোকান থেকে ঘটনার সূত্রপাত, সেটি গতকালও বন্ধ ছিল। কম্পিউটার দোকানের পাশের ওষুধ ব্যবসায়ী অসিম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই দোকানের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
দোকানটি বন্ধ: যে কম্পিউটারের দোকান থেকে ঘটনার সূত্রপাত, সেটি গতকালও বন্ধ ছিল। কম্পিউটার দোকানের পাশের ওষুধ ব্যবসায়ী অসিম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই দোকানের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
Blogger Comment
Facebook Comment